শি চিনফিং। —ফাইল চিত্র।
চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের মতে, বিশ্বে এমন সব পরিবর্তন হচ্ছে যা এক শতাব্দীর মধ্যে দেখা যায়নি। ফলে চিনা সামরিক বাহিনীকে সব সময়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
চিনা প্রেসিডেন্ট সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হওয়ার পাশাপাশি সামরিক বাহিনীরও শীর্ষ কর্তা। সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি সামরিক বাহিনীর হাইকম্যান্ডের এক বৈঠকে শি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতিকে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বে বড় পরিবর্তনের পাশাপাশি চিনের পক্ষে কৌশলগত বৃদ্ধির সুযোগও তৈরি হচ্ছে। তাই সামরিক বাহিনীকে সবসময়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। যে কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ করা জরুরি।’’ সরকারের অন্য দফতরগুলিকে সামরিক বাহিনীকে সব রকম সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন শি। চিনা প্রেসিডেন্টের মতে, যৌথ অভিযান চালানোর জন্য কম্যান্ডারদের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি নতুন ধরনের বাহিনীও তৈরি করতে হবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সামলাতে ক্রমাগত মহড়া প্রয়োজন।
শুক্রবার চিনা সামরিক বাহিনীর বাৎসরিক প্রশিক্ষণ শুরুর নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। নয়া সেনাদের প্রশিক্ষণের মেয়াদ তিন মাস থেকে বাড়িয়ে ছ’মাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিনা সরকার।
সম্প্রতি চিন নিয়ে মুখ খুলেছেন নয়া মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব প্যাট্রিক শানাহান। পেন্টাগনের কর্তাদের তিনি জানান, চিনই মার্কিন সামরিক তৎপরতার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তার পরেই শি-র এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা। বাণিজ্যযুদ্ধের পাশাপাশি বেশ কিছু ক্ষেত্রে চিনকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে চিনের তরফে আরও তৎপরতা চান ট্রাম্প। পাশাপাশি দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে চিনের বিবাদ রয়েছে। আবার ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্পের মাধ্যমে বেজিং এশিয়ার ছোট দেশগুলির উপরে ঋণের ভার চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মত ওয়াশিংটনের। মার্কিন কর্তাদের মতে, এ ভাবে ওই দেশগুলির উপরে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে চিন। এশিয়ায় চিনের আগ্রাসী নীতি নিয়ে চিন্তিত ভারতও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy