মোহনবাগানের হয়ে একমাত্র গোলটি করলেন সনি নর্ডি। -ফাইল চিত্র।
মিনার্ভা পঞ্জাব ০
মোহনবাগান ১ (সনি নর্ডি)
ফ্লাড লাইট বন্ধ হলেও মোহনবাগানকে আটকাতে পারল না পঞ্জাব। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেশ কিছুক্ষণ স্টেডিয়ামের আলো নিভে হয়ে যাওয়ায় বন্ধ থাকে ম্যাচ। প্রায় ১২ মিনিট পর আলো ফিরলে আবার খেলা শুরু হয়। ডার্বি জয়ের পরই শিলংয়ের কাছে ১-১ গোলে আটকে গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু পরের ম্যাচেই মিনার্ভার বিরুদ্ধে জয়ে ফিরল সঞ্জয় সেনের ছেলেরা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে জয়ের গোলটি করে গেলেন সনি নর্ডি।
আরও খবর: জীবনের দীর্ঘতম ১৫ মিনিট কাটিয়ে ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় মার্ক
ঠিক যখন মনে হচ্ছে এই ম্যাচেও পয়েন্ট নষ্ট করেই শহরে ফিরবে মোহনবাগান ঠিক তখনই কাউন্টার অ্যাটাকে বাজিমাত সনির। গোল করে কর্নার ফ্ল্যাগে কিক করে হলুদ কার্ডও দেখলেন এই হাইতিয়ান। ৮৪ মিনিটে পঞ্জাবের পুরো ডিফেন্স উঠে গিয়েছিল মোহনবাগানের বক্সের। সেখান থেকেই বল নিয়ে উল্টোদিকে দৌঁড়তে শুরু করেন সনি। যে দৌঁড় থামাতে পারেনি পঞ্জাব ডিফেন্স। আর ম্যাচ শেষের ছ’মিনিট আগে পিছিয়ে পড়ে হোমটিম আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। সেখানেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগের মুহূর্তে জেজে লালপেখলুয়ার নিশ্চিত গোলের শট বাঁচিয়ে দেন অর্শদীপ। না হলে ২-০ হয়ে যেতে পারত।
পুরো ম্যাচে একাধির গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোলের মুখ খুলতে লেগে গেল ৮৪ মিনিট। যেটা চিন্তায় রাখবে কোচ সঞ্জয় সেনকে। তাও ভরসা সেই সনিই। ডাফি, বলবন্ত, জেজেরা যে ভাবে সুযোগ নষ্ট করলেন তাতে চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে এটাই না সমস্যা সৃষ্টি করে দেয় বাগানে। ১৬ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে আইজলের সঙ্গে এক জায়গায় থাকলেও গোল পার্থক্যে শীর্ষে জায়গা করে নিল মোহনবাগানই। ইস্টবেঙ্গল ২৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে। ম্যাচ জিতে মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন বলে দিলেন, ‘‘ছেলেদের উপর আস্থা রেখেছিলাম ওরা সেই ভরসার মান রেখেছে। পরের ম্যাচটাই আইজল এফসির বিরুদ্ধে। ওদের ওখানে গিয়ে খেলতে হবে। লড়াইটা অনেকটাই মনঃস্তাত্বিক।’’ দলের প্রশংসার পাশাপাশি কোচের বিশেষ প্রশংসা পেলেন অনূর্ধ্ব-২২ ফুটবলার পিন্টু মাহাত। বলেন, ‘‘অনুশীলনে খুব ভাল করছিল ও তাই খেলিয়েছিলাম। অল্প সময় মাঠে থেকে ও প্রমাণ করেছে ও ভবিষ্যত উজ্জ্বল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy