শহরে পা দিতেই পছন্দের ফুটবলারকে নিয়ে হুল্লোড় করলেন এক দলের সমর্থকেরা। আরেক পক্ষ মাতলেন সেলফিতে।
ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা বাইক মিছিল করে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সেবকরোডের দুই মাইলের হোটেলে নিয়ে আসেন ওয়েডসন, প্লাজাদের। অন্যদিকে ফুল ছড়িয়ে, চন্দনের ফোঁটা দিয়ে বরণ করা হল সঞ্জয় সেন, কাতসুমি, সনি নর্ডিদের। গত দু’দিনের হিমেল বাতাস সরিয়ে এ দিন শিলিগুড়ির তাপমাত্রাও বেড়েছে খানিকটা। এত কিছুর পরেও শুক্রবার শহরের ডার্বির ঝাঁঝ যেন টেক্কা দিতে পারল না গতবারের উন্মাদনাকে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাউন্টারের সামনে টিকিট কাটার লম্বা লাইন নেই। এ দিন পর্যন্ত কলকাতায় এবং স্টেডিয়ামের কাউন্টার থেকে বিক্রি হওয়া টিকিট মিলিয়ে ৮ হাজারের মতো বিক্রি হয়েছে। কিন্তু স্টেডিয়ামে দর্শকাসন রাখা হয়েছে ২৭ হাজার। মোহনবাগান সূত্রের খবর, কলকাতায় পাঠানো প্রায় হাজার দুয়েক টিকিটের মধ্যে চারশোর মতো টিকিট ফিরে এসেছে। আগের ডার্বি দেখতে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান মিলিয়ে অন্তত ৭ হাজার সমর্থক এসেছিলেন কলকাতা থেকে। সেখানে এখনও ৯ এপ্রিলের ডার্বির জন্য কলকাতা থেকে দু’হাজার সমর্থক আসাও নিশ্চিত হয়নি বলে ক্রীড়া পরিষদের দাবি। আগের ডার্বির সংগঠক ছিল ইস্টবেঙ্গল। টিকিট বিক্রির দায়িত্ব তারা নিজেরাই নিয়েছিল। এই ডার্বির মূল আয়োজক মোহনবাগান। কিন্তু ক্লাবের তরফে ম্যাচ আয়োজনের পুরো দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের হাতে। তার বদলে মোহনবাগান ক্লাবকে ক্রীড়া পরিষদ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মতো দিচ্ছে। বাকি লাভক্ষতি ক্রীড়া পরিষদের। সেই কারণে ডার্বির টিকিট বিক্রি নিয়ে মোহনবাগান কর্মকর্তারা উদাসীন বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্রীড়া পরিষদের কর্তারা। বৃহস্পতিবার মোহনবাগানের কর্মকর্তা ইমরান খান শিলিগুড়ি পৌঁছলে তাঁকেও বিষয়টি জানান ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ।
টিকিট বিক্রি কম হওয়া নিয়ে ম্যাচের সময়কে কারণ হিসেবে দায়ী করছেন সংগঠকদের একাংশ। রবিবার সন্ধে থেকে শুরু ম্যাচ। খেলা দেখে ফিরে সোমবার অফিস করার মতো পরিস্থিতি না-থাকায় অনেকেই আসছেন না বলে সংগঠকদের একাংশের দাবি। যদিও এই ধারণা নস্যাৎ করে দিয়েছেন ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের আরেকপক্ষ। তাঁদের পাল্টা দাবি, সন্ধেয় ম্যাচ হওয়ায় স্থানীয়দের আসার সম্ভাবনা বেশি। শনিবার থেকে অনেকেই টিকিটের লাইনে দাঁড়াবেন বলে আয়োজকরা আশাবাদী। শনিবার দুই দল অনুশীলন করবে কাঞ্চনজঙ্ঘায়। মোহনবাগান ক্লাবের স্থানীয় প্রতিনিধি অরূপ মজুমদারের দাবি, মোহনবাগানের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, কলকাতায় থেকে অনেকে শিলিগুড়ি পৌঁছে টিকিট নেবেন। সে কারণে কিছু টিকিট আলাদা করে রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান অরূপবাবু।