— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যা উন্মোচিত হচ্ছে চিকিৎসক ও গবেষকদের সামনে। কিন্তু, সেই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সমন্বয় তৈরিতে কোথাও ফাঁক থেকে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের সভাগৃহে আয়োজিত ‘নিউরোসায়েন্স’ সংক্রান্ত আলোচনায় উঠে এল এই প্রসঙ্গই। সম্মেলনে উপস্থিত দেশ-বিদেশের স্নায়ুরোগ চিকিৎসক ও গবেষকেরা জানালেন, মস্তিষ্কজনিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার উন্নতি সাধনে দু’ক্ষেত্রের সমম্বয় সাধন অত্যন্ত জরুরি।
সল্টলেকে বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি হয়েছে স্নায়ুবিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণার প্রতিষ্ঠান
‘চিন্তা’। তারই সূচনা-লগ্নে দু’দিন ধরে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায় জানান, স্নায়ুরোগ সংক্রান্ত গবেষণার বিষয়টি গোটা বিশ্বেই অত্যন্ত দুর্বল। বিশেষ করে গবেষণা ও চিকিৎসার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে ওষুধ
তৈরিতেও খামতি থাকছে। বিদেশের এবং এ দেশের মানুষের মধ্যে জিনগত ফারাক রয়েছে। সেখানে স্নায়ুরোগের চিকিৎসায় বিদেশে তৈরি ওষুধ এ দেশে কতটা কার্যকরী, তা-ও সব সময়ে স্পষ্ট নয়।
সুমন্ত্র বলেন, ‘‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং বিদেশেও বাঙালি গবেষকদের আধিক্য বেশি। তাই আমাদের লক্ষ্য, এ রাজ্যের বুদ্ধিমত্তাকে এখানেই আরও উন্নত গবেষণার সুযোগ করে দেওয়া। যাতে এক ছাদের নীচে গবেষক ও চিকিৎসকেরা একযোগে কাজ করতে পারেন।’’
সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসূত্র বার করতে শুধু জীববিদ্যা নয়, রসায়ন, গণিত, কম্পিউটার সায়েন্স, প্রযুক্তি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষকের
প্রয়োজন। ওই সংস্থায় সেই মতোই সকলকে নিয়ে একযোগে পথচলা শুরু করতে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy