অপরাজেয়: বিরল রোগ ও ক্যানসার আক্রান্ত ছোটদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বুধবার, ঢাকুরিয়া। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
চিকিৎসার ফাঁকেই চলেছিল মহড়া। লক্ষ্য ছিল, সমাজের মূল স্রোত থেকে ওরা যে বিচ্ছিন্ন নয়, তারই বার্তা দেওয়া। সেই মতো বুধবার বিশ্ব বিরল রোগ দিবসের সন্ধ্যায় নাচ, আবৃত্তি, নাটকে মাতিয়ে রাখল বিরল রোগ ও ক্যানসারে আক্রান্ত কচিকাঁচারা। ঢাকুরিয়ার চিলড্রেন্স লিটল থিয়েটার, অবন মহল সভাগৃহে ‘আলোকের এই ঝরনাধারায়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ‘ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থ’ (আইসিএইচ)।
ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান তথা কার্যনির্বাহী আধিকারিক এবং শিশুরোগ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বলেন, ‘‘এই সমস্ত অসুস্থ শিশুর দায়িত্ব শুধু তাদের বাবা-মায়েদের নয়। বরং তাদেরও সমাজের সম্পদ বলে মনে করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করতে হবে আমাদের সকলকেই। এই অনুষ্ঠান থেকে সেই সচেতনতার বার্তাই দিতে চেয়েছি। যেমন, রূপঙ্কর বাগচী বিনা পারিশ্রমিকে সঙ্গীত পরিবেশনে রাজি হয়েছেন।’’
বিরল রোগের চিকিৎসায় খরচ অনেক। বহু শিশুর পরিবারই সেই খরচ জোগাড় করে উঠতে পারে না। তাই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চিকিৎসার বিপুল খরচের কিছুটা জোগাড় করে যাতে রোগী ও পরিজনদের পাশে দাঁড়ানো যায়, সে দিকেও নজর রেখেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অপূর্ব বলেন, ‘‘এই শিশুদের দায়িত্ব সমাজের সকলের। তাই তাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারকেও আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে।’’
ডাউন সিন্ড্রোম, অটিজ়ম, ডিসলেক্সিয়া, স্পাইনাল অ্যাট্রফি-র মতো বিভিন্ন বিরল রোগে আক্রান্তদের জন্য পার্ক সার্কাসের ওই হাসপাতালে রয়েছে নিবেদিতা বিদ্যালয়। এ দিন সেখানকার প্রায় ২০ জন পড়ুয়া বিভিন্ন গানের ছন্দে তাল মিলিয়ে মঞ্চস্থ করল একাধিক নাচ। আবার মৃণালিনী সেন্টার ফর ক্যানসার রিসার্চে চিকিৎসাধীন প্রায় ১০ জন রোগী মঞ্চস্থ করল নাটক ‘বেঙ্গমা-বেঙ্গমি’। উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আইসিএইচ-এর অধ্যক্ষ, চিকিৎসক জয়দেব রায় জানান, বিরল অসুখে আক্রান্ত হলেও স্রেফ সচেতনতার অভাবে অধিকাংশ শিশুর রোগ সময়ে ধরা পড়ে না। তাই ওই সমস্ত রোগ সম্পর্কে সমাজের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy