Advertisement
০৫ মে ২০২৪
স্মারকলিপি কংগ্রেসের

বাড়ছে ‘রেফার’, ক্ষোভ রামপুরহাটে

ঘোষণাই সার। মহকুমা হাসপাতাল থেকে জেলা হাসপাতাল, পরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক ঘোষণা করে গিয়েছেন রামপুরহাট হাসপাতাল নিয়ে। অথচ, পরিকাঠামো সেই তিমিরেই। দিন দিন বাড়ছে রেফারের সংখ্যা। জেলায় মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে রেফার-সহ অন্যান্য অভিযোগ নিয়ে সুপারের কাছে সোমবার স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস।

সুপারের কাছে নালিশ। ছবি: অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

সুপারের কাছে নালিশ। ছবি: অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৫ ০০:৫৪
Share: Save:

ঘোষণাই সার। মহকুমা হাসপাতাল থেকে জেলা হাসপাতাল, পরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক ঘোষণা করে গিয়েছেন রামপুরহাট হাসপাতাল নিয়ে। অথচ, পরিকাঠামো সেই তিমিরেই। দিন দিন বাড়ছে রেফারের সংখ্যা। জেলায় মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে রেফার-সহ অন্যান্য অভিযোগ নিয়ে সুপারের কাছে সোমবার স্মারকলিপি দিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের স্মারকলিপি প্রদানে উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ মণি, রামপুরহাট পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর অমল সেখ-সহ শহরের অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা।
অভিজিত মণি বলেন, ‘‘প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে রামপুরহাট হাসপাতালকে মুখ্যমন্ত্রী জেলা হাসপাতাল, রামপুরহাটকে পৃথক স্বাস্থ্য জেলা ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়া রামপুরহাট হাস্পাতালকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করা হয়েছে। একই চত্বরে মেডিক্যাল কলেজ করাও হবে। কিন্তু, সামান্য পরিষেবার জন্য যেখানে দিনের পর দিন হাসপাতাল থেকে রোগী রেফার হচ্ছে সেখানে এত সব ঘোষণা কি প্রহসন নয়!’’
হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেলা হাসপাতালে যে পরিকাঠামো, তার প্রায় কিছুই নেই। জেলা হাসপাতালে বেডের সংখ্যা থাকে ৫০০। সেখানে এই হাসপাতালে এখন বেড রয়েছে তিনশোর মতো। কংগ্রেস কর্মীরা এ দিন সুপারের কাছে উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘‘সম্প্রতি দখলবাটি গ্রামের এক প্রসূতি প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সেখান থেকে রেফার করে দেওয়া হয়। পরে হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে ওই প্রসূতি সন্তান প্রসব করেন। বিনা কারণে স্ত্রী রোগের চিকিৎসকরা হাসপাতাল থেকে প্রসূতিদের অন্যত্র রেফার করে দিচ্ছেন। এছাড়াও যে কোনও সার্জিক্যাল কেসেও ছোটো খাটো অস্ত্রপচার করার জন্যও রেফার করে দেওয়া হচ্ছে।’’

এ দিন কংগ্রেস কর্মীরা সুপারের কাছে তিন মাসে কত রোগী রেফার হয়েছে তার তালিকা চায়। হাসপাতাল সুপার সুবোধ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘আগামী ৮ জুলাই রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক আছে। সেখানে রেফার রোগীদের তালিকা দেখানো হবে। সেই তালিকা তৈরি করা চলছে। সম্প্রতি কিছু ক্ষেত্রে রেফার করার প্রয়োজন ছিল না। সে ব্যপারে তদন্ত করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।’’

কংগ্রেসের দাবি, জেলা হাসপাতাল অথচ রোগীদের বাইরে থেকে রক্ত পরীক্ষা করতে হয়, সিটি স্ক্যান বাইরে থেকে করতে হয়। কাউন্সিলর অমল সেখ বলেন, ‘‘রোগীদের রেফার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার নাম করে রামপুরহাটের নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়।’’ সুপার বলেন, ‘‘জেলা হাসপাতাল ঘোষণা হলেও এখনও পরিকাঠামোগত অনেক কিছু গড়ে ওঠেনি। তবে অনেক কিছুই হয়েছে।’’

রামপুরহাট এসডিও উমাশঙ্কর এস বলেন, ‘‘দাবিগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিক ব্রজেশ্বর মজুমদার বলেন, ‘‘রেফার যে হয় সেটা ঠিক। কিন্তু কি কারণে হয়, তা দেখছি। তবে ডাক্তার কম আছে রেফার হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE