Advertisement
E-Paper

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর...

পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয় বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন অ্যাপেই পড়াশোনার মাধ্যম, কাজের ধরন অনুযায়ী নতুন কিছু শিখতে চাইলে সেই ধরনের অ্যাপ ইনস্টল করে নিলেই আপনার শেখার গতি বেড়ে যাবে।

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ০০:০১

অতিমারির জেরে পড়াশোনা থেকে শুরু করে জীবিকাও এখন ই-মাধ্যমে। আর এই মাধ্যমে কাজ শেখার কিন্তু অফুরন্ত সুযোগ। এখানেই রয়েছে লার্নিং অ্যাপের প্রাসঙ্গিকতা। পড়াশোনার মাধ্যম, কাজের ধরন অনুযায়ী নতুন কিছু শিখতে চাইলে সেই ধরনের অ্যাপ ইনস্টল করে নিলেই আপনার শেখার গতি বেড়ে যাবে। এমনকি ভারতে বসেই শিখে নিতে পারেন বিদেশী ভাষা, খেলা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই।

পাঠভিত্তিক

• পড়াশোনার জন্য: ক্লাস অনুযায়ী ও বোর্ড অনুযায়ী পাঠ্যক্রম ধরে নোটস ও স্টাডি মেটিরিয়াল দেওয়া থাকে কিছু অ্যাপে। ফলে বাড়িতে পড়াশোনায় সাহায্য করার মতো কেউ না থাকলেও এই অ্যাপই তখন শিক্ষক। কিছু অ্যাপে আবার হোমওয়র্ক দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকে। ফলে বাড়িতে হোমওয়র্কের মাধ্যমে অভ্যেসও জারি থাকে।

• পরীক্ষায়: কিছু অ্যাপ থাকে যাতে মডেল প্রশ্নপত্র থাকে এবং সঙ্গে থাকে উত্তরও। ঠিক ‘মেড ইজ়ি’ বইয়ের মতো। এই ধরনের অ্যাপ থেকে প্রশ্ন নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা পড়া ঝালিয়ে নিতে পারে পরীক্ষার আগে।

• খেলতে-খেলতে পড়া: জীবনবিজ্ঞান, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়কে মনোগ্রাহী করে তোলার জন্য কিছু অ্যাপ সিলেবাস ধরে তৈরি করে অ্যানিমেটেড ভিডিয়ো। ফলে ভিডিয়ো দেখার মাধ্যমেই পড়ার বিষয় তার মনে থেকে যায়। আবার পড়ার চাপও পড়ে না। নতুন কিছু জানা বা শেখার অনীহাও কেটে যায় সহজেই।

• পরীক্ষাভিত্তিক প্রস্তুতি: ব্যাঙ্কের চাকরি, নেট, জয়েন্টের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিশেষ কিছু অ্যাপ রয়েছে। এই ধরনের অ্যাপ শুধুমাত্র সেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার মতো করেই সাজানো থাকে। কিছু সাজেস্টিভ প্রশ্নোত্তর পর্বও থাকে। ফলে শুধু পড়াই নয়, পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে সেই প্রশ্ন দেখে ছাত্রছাত্রীরা মক টেস্টও দিতে পারে।

স্কিল ডেভলপমেন্ট

কাজের সূত্রে রোজই অনেককে নানা কিছু শিখতে হয়। যেমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের বিষয়ে আপডেটেড থাকা জরুরি, তেমনই লেখালিখির সঙ্গে যুক্ত হলে তাঁদেরও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয় বিভিন্ন বিষয়ে। পেশায় শেফ হলে দেশি-বিদেশি কুইজ়িনের বিভিন্ন রান্নাও শিখতে হবে। চিকিৎসকদেরও চিকিৎসাশাস্ত্রের নতুন দিকগুলি সম্পর্কে খোঁজ রাখার প্রয়োজন হয়। তাই পেশা হিসেবে স্কিল বাড়াতেও বেছে নিতে পারেন বিভিন্ন অ্যাপ। স্কিল ডেভলপমেন্ট অ্যাপগুলিতে দেশ-বিদেশের জার্নালও ডাউনলোড করে পড়ার সুবিধে পাওয়া যায়।

শখপূরণে

কারও হয়তো গ্লাস পেন্টিং বা ট্যাঙ্গো ডান্স শেখার ইচ্ছে। কেউ গিটারের কর্ড শিখতে চান কিন্তু বাড়ির কাছাকাছি তেমন শিক্ষকের সন্ধান পাচ্ছেন না। ইউটিউবেও সব সময়ে ধাপে ধাপে শেখার সুযোগ থাকে না। কিন্তু লার্নিং অ্যাপের মাধ্যমে তা সম্ভব। আবার দেশি-বিদেশি ভাষা শেখার জন্যও বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে। এমনকি ফসল ফলানোর টিপস দেয়, এমন অ্যাপও পেয়ে যাবেন।

যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখবেন

• এই ধরনের অ্যাপে অনেক বিষয় তুলে ধরা হবে আপনার সামনে। কিন্তু পাঠক বা যে শিখতে ইচ্ছুক, তাঁর উপরেই নির্ভর করবে, সে কতটা শিখতে পারবে। কারণ সে নিজে যে ভাবে বিষয়টা বুঝবে, সেটাই শিখবে। সব অ্যাপে কিন্তু ইন্টার্যাকশনের সুযোগ থাকে না। ফলে কারও উপরে নির্ভরশীল হওয়া যাবে না।

• বেশির ভাগ লার্নিং অ্যাপ সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক হয়। অ্যাপের মানের উপরে নির্ভর করে তার সাবস্ক্রিপশনের অঙ্ক। ফলে অনেক টাকা দিয়ে একটা অ্যাপ সাবস্ক্রাইব করলেন, তার পরে যদি তা থেকে বিশেষ কিছু শেখার না থাকে বা শিখতে না পারেন, তা হলে টাকা নষ্ট। তাই কোনও অ্যাপে সাবস্ক্রিপশন করার আগে সেই অ্যাপটি সম্পর্কে রিভিউ পড়ে নিন ভাল করে। কেউ ব্যবহার করলে তার কাছ থেকেও জেনে নিয়ে তবে সাবস্ক্রাইব করুন।

• অ্যাপের মাধ্যমে শেখা মানে স্ক্রিনটাইম বেড়ে যাওয়া। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় বা অন্য কাজের জন্য স্ক্রিনটাইম কমিয়ে সে সময়টা বরং নতুন কিছু শেখার কাজে দিন।

ই-লার্নিংয়ের যুগে যে কোনও লার্নিং অ্যাপই খুব কার্যকর, যদি তা আপনি ঠিক করে ব্যবহার করতে পারেন।

Educational Apps Education Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy