তেজপাতা দিয়ে নিজের চুলের যত্ন নেওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত
বাঙালির রান্নাঘরে তেজপাতা একটি অপরিহার্য উপাদান। রান্না তো বটেই, রান্না ঘরের বাইরেও কিন্তু তৈজসপত্রের গুণ কিছু কম নয়। তেজপাতা দিয়ে নিজের চুলের যত্নও নেওয়া যায়। নিয়মিত কয়েকটি বিশেষ উপায়ে তেজপাতা ব্যবহার করলে মাথায় খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি, চুলকানি ও খসখসে ভাবও দূর হয়। ব্যবহারের কৌশল জানলে তেজপাতার গুণেই চুল হবে নরম। বাড়বে জেল্লা।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন তেজপাতা?
খুশকি দূর করতে কাজে আসতে পারে তেজপাতা। এর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। ৩-৪টি তেজপাতা ভাল করে গুঁড়ো করে পরিমাণ মতো নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। তার পর মাথার তালুতে ভাল ভাবে মালিশ করুন। এ বার গরম জলে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে, সেই তোয়ালে আধ ঘণ্টা মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর ভাল করে মাথা ধুয়ে নিন।
প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন তেজপাতা। কয়েকটি তেজপাতা জলে ফুটিয়ে নিন। তার পর তেজপাতা-সহ জল মিনিট দশেক ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন জল। চুলে শ্যাম্পু করার পর এই জল চুলে মাখিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
চুল ভাল রাখতে বানিয়ে নিতে পারেন তেজপাতা ও দইয়ের প্যাকও। পাতা গুঁড়ো করে, সেই গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন টক দইয়ের সঙ্গে। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল চুলের প্যাক। এই প্যাক ফ্রিজে রেখে দিন। রোজ স্নান করার আগে প্যাকটি মাথায় মেখে মিনিট দশেক রেখে দিতে হবে। তার পরে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
অনেক সময়ে ছত্রাক ও ব্যাক্টেরিয়া থেকে মাথায় চুলকানি দেখা দেয়। এই সমস্যা কমাতেও কাজে আসতে পারে তেজপাতার জল। আধ লিটার জলে কয়েকটি তেজপাতা ৩-৪ মিনিট ফুটিয়ে, জল ঠান্ডা করে নিতে হবে। এই জল নিয়মিত মাথার তালুতে ঢাললে কমতে পারে সংক্রমণ। তবে সমস্যা বেশি বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy