Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

এক সপ্তাহ আগেও জীবনটা অন্য রকম ছিল। বিয়ে ঠিক হয়েছে। হাসপাতালের কাজের ফাঁকে তার প্রস্তুতি নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন বছর উনত্রিশের তরুণী অ্যাম্বার ভিনসন। দিন কয়েকেই বদলে গেল সব কিছু। আপাতত পরিবার থেকে বহু দূরে বিলাসবহুল জাহাজের কেবিনে একেবারে একলা, নজরবন্দি।

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫৪
Share: Save:

জাহাজের ঘরে বন্দি ইবোলা আক্রান্ত নার্স

সংবাদ সংস্থা • ওয়াশিংটন

এক সপ্তাহ আগেও জীবনটা অন্য রকম ছিল। বিয়ে ঠিক হয়েছে। হাসপাতালের কাজের ফাঁকে তার প্রস্তুতি নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন বছর উনত্রিশের তরুণী অ্যাম্বার ভিনসন। দিন কয়েকেই বদলে গেল সব কিছু। আপাতত পরিবার থেকে বহু দূরে বিলাসবহুল জাহাজের কেবিনে একেবারে একলা, নজরবন্দি। এই অ্যাম্বারই টেক্সাসের সেই হাসপাতালের নার্স। লাইবেরিয়া ফেরত ইবোলা-আক্রান্ত এক ব্যক্তি টমাস ডানকানের চিকিত্‌সা করেছিলেন তিনি। ডাক্তারদের অনুমান, কোনও ভাবে ওই লোকটির রক্তের নমুনার সংস্পর্শে এসেই সংক্রামিত হয়েছেন অ্যাম্বার। আক্রান্ত অপর নার্স নিনা ফ্যাম মেরিল্যান্ডের এক হাসপাতালের আইসোলেশন চেম্বারে বন্দি। তিনি প্রথম সংক্রামিত হন ইবোলা ভাইরাস ডিজিজ (ইভিডি)-এ। ডানকান মারা গিয়েছেন। নিনা ও অ্যাম্বারের ভবিষ্যত্‌ জানা নেই। আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দুই। কিন্তু নিনা কিংবা অ্যাম্বারের মতো অন্তত হাজার খানেক স্বাস্থ্যকর্মী পশ্চিম আফ্রিকায় গিয়ে আক্রান্ত। আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, “সমস্যা সমাধানে এক জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবে আমেরিকা। তিনি গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন।” তবে এখনই পশ্চিম আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবে না তারা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র আশঙ্কা, খুব শিগগিরি পরিস্থিতি এমন দাঁড়াবে যে, প্রতি সপ্তাহে হাজার দশেক লোক রোগাক্রান্ত হবেন। ওষুধ প্রস্তুতকারী একটি ব্রিটিশ সংস্থার আশঙ্কা, যত দিনে এ রোগের টিকা আবিষ্কার হবে, হয়তো অনেক দেরি হয়ে যাবে। ওই সংস্থার প্রধান বলেন, “রোগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই হাতে আসেনি। সে কাজ মিটতেই ২০১৫ সাল কেটে যাবে।”

হাওড়াতে রহস্য-জ্বর

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

যে পুরসভার মেয়র নিজে চিকিত্‌সক, সেখানকারই দু’টি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৫০ জন অজানা জ্বরে আক্রান্ত। অথচ, পুরসভার কোনও হেলদোল নেই। এমনকী, সে কথা জানেন না জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পুরসভার দাবি, তারা রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর এর পুরো দায় চাপিয়েছে পুরসভার উপরেই। কিন্তু দোষারোপের পালার মধ্যে হাওড়ার ওই দুই বাসিন্দাদের রোগভোগ অবশ্য কমছে না। হাওড়া পুরসভার ৩৪ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অজানা জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। তা জানার পরেও শুক্রবার দিনভর দু’টি ওয়ার্ডেই পুরসভার কোনও প্রতিনিধি আসেননি। স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য বিষয়টি জানার পরে একটি দলকে ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করতে পাঠায়। পুর সূত্রের খবর, হাওড়ার ওই দু’টি এলাকায় অজানা জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়েছে মহালয়ার দিন থেকে। আক্রান্তরা জানান, এই জ্বরের লক্ষণ হল কাঁপুনি দিয়ে প্রচণ্ড জ্বর, সারা শরীরে যন্ত্রণা, মাথা ব্যথা-গা গুলোনো। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পর ১০ দিন কেটে গিয়েছে। তা-ও জ্বর কমছে না। এই জ্বরে আক্রান্ত কোনা এক্সপ্রেসের পাশে বেতড় মোড়ের কাছে সর্বমঙ্গলা কলোনির ৫০টি পরিবারের এক জন অজানা জ্বরে আক্রান্ত হলে তা সংক্রমিত হয়েছে পুরো পরিবারে। একই অবস্থা বলে শিবপুরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মতলা লেনে বাসিন্দারা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস রায়ের পাল্টা দাবি, “ওই এলাকাটি পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক্তিয়ারে। তাই ওঁরা জানালে ব্যবস্থা নিতাম। পুরসভা কিছুই জানায়নি। তবু খবর পেয়ে আমাদের একটি দল রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে।”

রক্ত-সঙ্কট মেটাতে উদ্যোগ হাসপাতালের

নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর

জেলায় রক্ত ভাণ্ডারের অভাব কোনও নতুন ঘটনা নয়। এ বার সেই সঙ্কট মেটাতে এগিয়ে এলেন হাসপাতালের সুপার, চিকিৎসক থেকে অন্যান্য কর্মীরা। শুক্রবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ঘটনা। যেখানে তাঁরা নিজেরাই এগিয়ে এলেন রক্তদানে। হাসপাতাল সুপার অমিত মজুমদার বলেন, “বেশ কিছু গ্রুপের রক্তের অভাব ছিল। এ দিন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স থেকে সকল স্তরের কর্মীরা রক্তদান করেছেন। সমাজের সকল স্তরের মানুষ এ ভাবে এগিয়ে এলে রক্ত নিয়ে সঙ্কট থাকবে না।”

বিশ্ব দৃষ্টি দিবস

চোখ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব দৃষ্টি দিবসে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’। ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE