প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সম্প্রতি ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এনপিসিআই’কে কোভিড-টিকার ভাউচার চালু করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বৈদ্যুতিক ভাউচার কেনার জন্য একটি মাধ্যম তৈরি করবে এনপিসিআই। কিন্তু কী এই টিকা-ভাউচার? কী ভাবে কাজ করবে এবং কী করে কিনতে পারেন আপনি? জেনে নিন যাবতীয় তথ্য।
টিকা-ভাউচার কী
প্রিপেড রিচার্জ যে ভাবে করেন, ঠিক সেই ভাবেই কোভিড টিকার জন্য টাকা দিতে পারবেন এই ভাউচারের সাহায্যে। এতে যে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা অনুমতিপ্রাপ্ত টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা নেওয়া যাবে।
যাঁদের টিকা নেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাঁদের জন্য যাতে অন্যেরা টিকার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর সাহায্যে যে কোনও হাসপাতালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে টিকার মূল্য। আলাদা করে কোনও সরকারি মাধ্যমে মূল্যদান করার প্রয়োজন হবে না।
কী ভাবে কাজ করবে এগুলি
অনলাইনে কিনে টিকা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে গিয়ে সেটা দেখালেই চলবে। ভারতীয় রিসার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা এগুলি অনুমোদিত হবে। শোনা যাচ্ছে এনপিসিআই আবেদন জানিয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের মুঠোফোনে কিউআর কোড স্ক্যান করেও এই ভাউচার কিনতে পারেন।
কারা কিনতে পারবেন
যাঁরাই অন্য কারুর টিকাকরণে সাহায্য করতে চান, তাঁরা এই ভাউচার অন্যের হয়ে কিনতে পারবেন। যে কোনও সংস্থা তার কর্মীদের টিকাকরণের জন্য এই ভাউচার অনেক পরিমাণে কিনে রাখতে পারেন। যাতে কর্মীরা বিনা খরচে টিকার সুবিধে পেয়ে যান।
সরকারি হাসপাতালে এগুলি কি চলবে
না, শুধু বেসরকারি হাসপাতালের জন্যেই এই ভাউচার কার্যকরী। কারণ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টিকাকরণের সুবিধা এমনিই রয়েছে।
ভাউচারের মাধ্যমে কি টিকা নেওয়ার দিন ঠিক করা যাবে
না, শুধু টিকর খরচের জন্যেই ব্যবহার করা যাবে এই ভাউচারগুলি। কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে আপনি টিকার দিন ঠিক করতে পারেন। অথবা টিকা কেন্দ্রে গিয়ে আগে থেকে দিন ঠিক করে আসতে পারেন।
কত খরচ
টিকার মতোই খরচ পড়বে বলে আশা করা যায়। কোভিশিল্ডের দাম পড়বে ৭৮০ টাকা। কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ১৪১০ টাকা এবং স্পুটনিক ভি’র দাম পড়বে ১১৪৫ টাকা।
কবে থেকে কেনা যাবে
যদিও কেন্দ্র কোনও তারিখ ঘোষণা করেনি, শোনা যাচ্ছে জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে এনপিসিআই এই পরিষেবা চালু করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy