Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
coronavirus

করোনা আবহে নখ নিয়ে এই বিষয়গুলি মানতেই হবে

নখের থেকে কি কোনওরকম সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে?

নখ বড় রাখা যাবে না কোনওমতেই। ফাইল ছবি।

নখ বড় রাখা যাবে না কোনওমতেই। ফাইল ছবি।

রোশনি কুহু চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৫:৫০
Share: Save:

বর্ষাকাল। করোনা আবহ। সারা ক্ষণ হাত স্যানিটাইজ করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বার বার হাত ধুতে বলছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু হাতের নখ? সে ক্ষেত্রে কি কোনও বিশেষ নিয়ম মেনে চলতে হবে? বড় নখ কি রাখা যাবে?

বর্ষা কালে ছত্রাকের সংক্রমণ হয় অনেক সময়। হাতে-পায়ে চুলকানি, র‌্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। চামড়া খসখসে হয়ে যাওয়ার সমস্যাও থাকে। একটু বৃষ্টি পড়লেই কাদা জল ছিটকে আসে গায়ে। করোনার আশঙ্কা থাকলেও বাইরে বেরতে হচ্ছে অনেককেই। টিফিন নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ি থেকেই। হাতের নখ বড় বলে খেতে ভয় লাগছে হাত দিয়ে। নখের থেকে কি কোনওরকম সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে?

করোনার কারণে বাইরে থেকে ঘরে আসার পরই স্যানিটাইজেশন, গরম জলে স্নান এগুলির উপর জোর দিচ্ছেন অনেকেই। তবুও নখের ক্ষেত্রে কোনও খামতি থেকে যাচ্ছে না তো? মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস, জনস্বাস্থ্য চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী ও এবং ডার্মাটোলজিস্ট অরিত্র সরকারের সঙ্গে কথা বলল আনন্দবাজার ডিজিটাল।

আরও পড়ুন:কোভিডের উপসর্গে জ্বরের দোসর হাত-পা ব্যথা? কী খেয়াল রাখতেই হবে?​

নখের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ, হাতের ক্ষেত্রে বার বার সাবান দিয়ে ধোওয়া কিংবা স্যানিটাইজ করার মতো বিষয়গুলি থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই নখ রাখার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্ন থাকা সবচেয়ে জরুরি। তাই সংক্রমণ নিয়ে কোনও রকম অবহেলা নয়।

মেডিসিনের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মুখে কিংবা নাকে হাত একেবারই দেওয়া যাবে না। অনেকেরই দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস রয়েছে। তাই কোনওমতেই নখ বড় রাখা যাবে না।’’

সুবর্ণবাবুর মত, হাত ধোওয়ার প্রাথমিক পাঠেই রয়েছে ঘষে নখও পরিষ্কার করতে হবে। তাই এখন বড় নখ বড় না রাখাই ভাল।

পার্লারে গিয়ে ট্রিটমেন্ট না করানোই ভাল। ফাইল ছবি।

কী কী মনে রাখতে হবে

• হাত পরিষ্কারের সময় নখের উপরিভাগ ঘষে পরিষ্কার করতে হবে

• নখ কোনওমতেই বড় রাখা যাবে না

• বাইরে বেরলে টিফিন ইত্যাদি খাওয়ার সময় চামচ বা কাঁটা চামচ ব্যবহার করতে হবে

• নকল নখ ব্যবহার করেন অনেকেই, সেটিও করা যাবে না এখন একেবারেই।

• গ্লাভস যাঁরা ব্যবহার করছেন, নখ রাখলে সার্জিক্যাল গ্লাভস ছিঁড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে আরও।

আরও পড়ুন:নিউ নর্মালে সম্পর্ক ভাল রাখতে কী করবেন, কী করবেন না

নেলপলিশ ব্যবহার করা যাবে কি?

এই প্রসঙ্গে ডার্মাটোলজিস্ট অরিত্র সরকার বলেন, ‘‘নেলপলিশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মনে রাখা জরুরি। ‘ক্যাপিলারি ফিলিং’ বলে একটা বিষয় রয়েছে। ক্রনিক কোনও অসুখ থাকলে এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখা হয়।এ ক্ষেত্রে নখের উপরিভাগ চেপে ধরে দেখা হয়, সাদা অংশটা লালচে হচ্ছে কি না আগের মতো। ফুসফুসের সমস্যা হলে নখ নীলচে হতে পারে, বোঝা যাবে যে অক্সিজেনের পরিমাণ কম। করোনা আবহে এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হৃদরোগ বা ডায়াবিটিসের সমস্যায় নখ সহজে লালচে হতে চায় না। এ ছাড়াও পালস অক্সিমিটারের গোলমাল আসতে পারে কোনও সময়। তাই নেলপলিশ ব্যবহার না করাই ভাল।’’

আরও পড়ুন:খুসকির সমস্যায় জেরবার, সমাধানে এই বিষয়গুলি মানছেন তো?​

এ দিকে নখ তো ছোট রাখতেই হবে। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে অন্য একটি বিষয়ে। পার্লারে গিয়ে নখের কোনওরকম ট্রিটমেন্ট বা ম্যানিকিওর করা যাবে না এই মুহূর্তে, পরামর্শ অরিত্রবাবুর।

নখের উপরিভাগ চেপে ধরে দেখা হয়, সাদা অংশটা লালচে হচ্ছে কি না আগের মতো। ফাইল ছবি।

কেন?

তাঁর কথায়, ‘‘করোনা আবহে সাবান ইত্যাদির ব্যবহারে এমনিতেই নখ ক্ষতিগ্রস্ত। রাসায়নিকের ব্যবহারে নখ আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বার বার নেলপলিশ বদল করলে রিমুভারের ব্যবহারেও নখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। তাই সাবধান থাকতেই হবে।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২

• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE