ছত্রাকের সংক্রমণ সারাচ্ছে কি জোঁক? ছবি: সংগৃহীত
জোঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এটি নতুন কিছু নয়। নানা ধরনের সমস্যায় কী ভাবে জোঁককে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা হচ্ছে, তা এর আগেই আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। হালে জোঁকের মাধ্যমে বেড়েছে মিউকরমাইকোসিসের মতো ছত্রাকঘটিত অসুখের চিকিৎসাও।
কিন্তু এর পিছনে কি আদৌ কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে?
জোঁক ত্বকের তলা থেকে জমা রক্ত বার করে দিতে পারে। আধ ঘণ্টা খানেক রেখে দেওয়া গেলে মাত্র কয়েক মিলিলিটার রক্তই বার হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁদের মত, সেই রক্তের সঙ্গে বহু ধরনের সমস্যা শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। শুধু তাই নয়, রক্ত টানার জন্য জোঁক নিজের লালারসের সঙ্গে এক বিশেষ ধরনের রাসায়নিক মানুষের শরীরের ঢুকিয়ে দেয়। সেটিও নানা ধরনের রোগকে প্রতিহত করতে পারে।
এই লালারসই নাকি মিউকরমাইকোসিস জাতীয় নানা ছত্রাকঘটিত রোগ সারিয়ে দেয়। ছত্রাকটির সংক্রমণের ফলে মুখের ত্বকের তলায় যে কোষগুলি মারা যায়, জোঁক সেগুলি টেনে বের করে দেয়। আয়ুর্বেদে যাঁরা বিশ্বাস রাখেন, তেমনই বলছেন তাঁরা।
কিন্তু মূলধারার চিকিৎসকেরা কী বলছেন?
এ বিষয়ে এখনও কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জোঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার পরে এমনই বলেছেন মূলধারার চিকিৎসকেরা। তাঁদের অনেকেরই মত, ছত্রাক সংক্রমণের ফলে যে কোষগুলি মারা যাচ্ছে, জোঁকের পক্ষে সেগুলিকে টেনে বের করা অসম্ভব। একমাত্র অস্ত্রোপচার করেই তা সম্ভব বলে মত চিকিৎসকেদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy