Advertisement
২৩ মার্চ ২০২৩
Google Layoff

মহিলা ঊর্ধ্বতনের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় চাকরি গিয়েছিল, অভিযোগ গুগলের প্রাক্তন কর্মীর

বসের প্রস্তাব না মানলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। গুগলও যে তার ব্যতিক্রম নয়, তার প্রমাণ দিলেন প্রাক্তন এক কর্মী।

Symbolic image of Ex-Google Employee

২০২২ সালে সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয় এক কর্মীকে। ছবি- প্রতীকী

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:২০
Share: Save:

বিশ্ব জুড়ে গুগলের গণ ছাঁটাইয়ের মাঝেই উঠে আসছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার কথা। কখনও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা অন্তঃসত্ত্বা মহিলার হাতে ধরানো হচ্ছে গোলাপি চিরকুট। আবার কখনও ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসা করাতে ছুটিতে থাকা ছেলেকে জানানো হচ্ছে তিনি চাকরি থেকে বহিষ্কৃত। তবে ছাঁটাই সংক্রান্ত এই প্রথা নতুন নয়। ২০১৯ সালেও এমনই এক খারাপ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন ম্যানহ্যাটন শহরে ওই সংস্থায় কর্মরত তৎকালীন এক কর্মী।

Advertisement

বছর ৪৮-এর রিয়ান ওলোহানের অভিযোগ, সংস্থায় কর্মরত টিফ্যানি মিলার নামের এক ঊর্ধ্বতন কর্মী তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন। সাত সন্তানের জনক ওলোহান তৎক্ষণাৎ সেই মহিলার প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তার পর থেকেই ওলোহানের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন টিফ্যানি। এমনকি, অফিসের পার্টিতেও তাঁকে ‘বিরক্ত’ করেন বলে অভিযোগ। তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করতে থাকেন ওই মহিলা।

এই সমস্যার সমাধান চেয়ে ওলোহান সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগে অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি আরও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন বলে বক্তব্য গুগলের ওই প্রাক্তন কর্মীর। মানবসম্পদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, ওলোহানের এই অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়।

Advertisement

কারণ, সংস্থায় কর্মরত উচ্চপদে আসীন ওই মহিলা কর্মী অনেক দিন আগেই তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ করে রেখেছেন। এই নিয়ে চলতে থাকে বিস্তর মামলা পর্ব। শেষে টিফ্যানি, ওলোহানের কাছে ক্ষমাও চান। তবু অভিযোগ, ২০২২ সালে সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘ ১৬ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয় ওলোহানকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.