২২ জানুয়ারি, সুইডেনের আপসালা শহর। আচমকাই ফেসবুক ইউজারদের মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠল ফেসবুক লাইভ নোটিফিকেশন। নোটিফিকেশনে ক্লিক করতেই চালু হয়ে গেল ফেসবুক লাইভ। টেনে হিঁচড়ে এক তরুণীকে ফ্ল্যাটের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে গেল তিন যুবক। তারপর ফেসবুক লাইভেই সেই তরুণীকে ধর্ষণ করল তারা।
১৬ এপ্রিল, আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড। ফেসবুক লাইভে গুলি করে এক ব্যক্তিকে খুন করলেন স্টিভ স্টিফেন নামে ৩৭ বছরের এক যুবক।
এই দুই ঘটনাতেই ইউজারদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সেই লাইভ ভিডিও মুছে দেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতেও ফেসবুকে ক্রাইম ভিডিও বা ছবি পোস্ট হওয়া বন্ধ হচ্ছিল না। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মকে যাতে অপধারীরা এই ধরনের কাজে ব্যবহার না করতে পারে তার জন্য এ বার আরও শক্ত হাতে বিষয়টি সামলাতে চলেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকে পোস্ট হওয়া সমস্ত ভিডিও এবং ছবি মনিটর করতে নতুন করে আরও ৩০০০ লোক নিতে চলেছে ফেসবুক। ২০১৮ সালের মধ্যেই এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
আরও পড়ুন: এ বার হোয়াটস্অ্যাপে পছন্দের বন্ধুদের ‘পিন’ করে উপরে রাখুন
ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকেরবার্গ জানান, ইতিমধ্যেই ফেসবুকের সমস্ত পোস্ট মনিটর করার জন্য ৪,৫০০ লোক রয়েছে। কোনও পোস্ট সম্পর্কে ইউজারদের থেকে রিপোর্ট পেলেই তাঁরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। সংস্থা যদি মনে করে, কোনও পোস্ট ফেসবুকের শর্ত মানছে না তা হলে ইউজারদের থেকে অভিযোগ না পেলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তবে শুধু লোকবল বাড়িয়েই নয়, প্রযুক্তির আরও উন্নতি করে এই সমস্যা কী ভাবে রোখা যায় তাও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জুকেরবার্গ। বুধবার এই নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। লেখেন, ‘‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেখছি ফেসবুককে অনেকেই এই সমস্ত অপরাধমূলক কাজের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। ফেসবুক কমিউনিটিকে রক্ষা করতে কাজ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy