আপনার অভ্যাসের বদলই করে তুলতে পারে সঞ্চয়ী। ছবি: শাটারস্টক।
বেতন পাওয়ার পর প্রথম ক’টা দিন ঠিকঠাক কাটে। তার পরেই নানা ইএমআই, পারিবারিক খরচ, ব্যক্তিগত খরচ, কেনাকাটা— এ সব সামলে পকেটে টান পড়ে অনেকেরই।
যদিও খরচ সামলে সঞ্চয়ের দিকে পাল্লা ভারী করতে আমরা প্রত্যেকেই চাই। তবে আধুনিক জীবনযাত্রা ও বাজারদরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টাকা জমানো আর হয়েই ওঠে না। মাসের মাঝে এসেই কাটছাঁট করতে হয় খরচ।
তবে বেশ কিছু কৌশল ও হিসাব মাথায় রাখলেই কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। জেনে নিন সে সব উপায় আর বাজেট তৈরি করুন সে ভাবেই।
আরও পড়ুন
এক স্কুপ আইসক্রিম, ব্যস! অফিসে সেরা সহকর্মী হওয়া ঠেকায় কে?
আজকাল বেশ কিছু অ্যাপ পাওয়া যায়, যেখানে সারা মাসের আয়-ব্যয়ের হিসাব কষে নেওয়া খুবই সহজ। এমনকি, আগে থেকে দিয়ে রাখা হিসাব থেকে কোনও কারণে বেশি খরচ হলে সেই খবর অ্যাপই জানান দেবে আপনাকে। তেমন একটা অ্যাপ নামিয়ে নিন প্লে স্টোর থেকে। মাসের শুরুতেই একটা হিসাবের খাতা করুন। সেখানে লিখে রাখুন মাসের শুরুতেই কোথায় কত খরচ, তার হিসাব। সেই হিসাব বদলালেও তা-ও লিখুন খাতায়। রোজই আপডেট করুন সেই তালিকা। তাতে আপনার আয়-ব্যয়ের সঙ্গতি রক্ষা সহজ হবে। অনলাইন শপিংয়ের নেশা আছে? সে অভ্যাস বদলান দ্রুত। মনোবিদদের মতে, অনলাইন শপিং এক ধরনের নেশা। যার প্রকোপে পড়ে ঘন ঘন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের প্রবণতাও বাড়ছে ভারতীয়দের মধ্যে। ক্রেডিট কার্ডের ধারের বোঝা কিন্তু খরচের বোঝা বাড়ায়। কেউ বা প্রচুর বই পড়েন, কেউ বা অন্য কোনও শখে খরচ করে ফেলেন মাত্রাতিরিক্ত। এমন হলে এই ধরনের খরচে রাশ টানুন। বরং এক বছরে কী কী কিনবেন তার তালিকা মাস ধরে ভাগ করে নিন। লক্ষ্য রাখুন যেন কেনার মাত্রা প্রয়োজনের বাইরে না চলে যায়। প্রচুর বাইরে খান? ‘ইটিং আউট’-এর ক্ষেত্রে কিন্তু খরচ বেড়ে যায় অনেক। আজকাল এমনিতেই কর সমেত খাওয়ার খরচ কয়েক বছরে বেশ বেড়েছে। তাই হিসাবহীন খরচে লাগাম পরান। বন্ধ করুন ঘন ঘন ইটিং আউট।
আরও পড়ুন
শেষ পাতে মিষ্টি খান? জানেন তা আদৌ ঠিক না ভুল
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
অন্যের যা আছে, তা এক্ষুণি আপনারও চাই— এমন অন্যায্য দাবি থাকলে মনকে বোঝান, দরকারে মনোবিদের সাহায্য নিন। এতেও খরচের বহর বাড়ে। বিজ্ঞাপনী চমকে যা দেখেন তা-ই কেনেন? এমন অভ্যাস আগে সরান। বিজ্ঞাপনে দেখানো সবগুলিই ব্যবসায়িক স্বার্থে তৈরি। সেই বাস্তব বুদ্ধি রেখে জিনিস কিনুন। একান্তই দরকার না হলে তা বাদ দিন কেনার তালিকা থেকে। চেষ্টা করুন প্রতি মাসে কিছু টাকা পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্কের রেকারিং ডিপোজিট বা বাজারচলতি ভাল কোনও প্রকল্পে টাকা জমান। চেষ্টা করুন বিমা শুরু করতে। এতে মাসে মাসে কিছু টাকা অন্তত জমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy