ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে: অ্যালো ভেরার মূল উপাদান হল জল। এই কারণে এটির ব্যবহারে বজায় থাকে ত্বকের আর্দ্রতা। ফলে বলিরেখা পড়ার হাত থেকে রক্ষা পায় ত্বক। সতেজ অ্যালো ভেরা হলে সরাসরি তার শাঁস বের করে ত্বকে লাগাতে পারেন। বাজারেও প্যাকেটজাত অ্যালো ভেরা জেল পাওয়া যায়। অ্যালো ভেরার শাঁস অথবা জেলের সঙ্গে দুধ, মধু, কাঁচা হলুদ বাটা ও দুধের সর মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে নিন। এ বার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তার পর তা ধুয়ে ফেলুন। অ্যালো ভেরা, শসার রস ও দইয়ের তৈরি প্যাক ত্বকের ট্যান এবং ব্রণ তাড়াতেও ভাল কাজ করে।
চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে: চুল পড়ার সমস্যা দূর করতে পারে অ্যালো ভেরা। এর রসে আছে প্রোটিওল্যাক্টিক এনজাইম, যা মাথার তালুর কোষগুলির স্বাস্থ্যরক্ষায় সক্ষম। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমবে, বাড়বে চুলের দৈর্ঘ্য। দূর হবে মাথার খুশকি এবং সংক্রমণ। এটিকে কন্ডিশনার হিসাবে ব্যবহার করলে চুল থাকবে কোমল।
আরও পড়ুন: মোবাইলের দুনিয়ায় বুঁদ প্রিয় কেউ? এই সব উপায়ে সরান নেশা
ওজন কমাতে সাহায্য করে: অ্যালো ভেরার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিড ও উপকারী কিছু উৎসেচক। নিয়মিত অ্যালো ভেরার রস পান করলে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে এই রস। তবে এর স্বাদ তেতো। তাই ব্লেন্ডারে এর শাঁস নিয়ে তার সঙ্গে জল, বরফ, মধু ও লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করে প্রতি দিন সকালে তা পান করুন।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়: এই পানীয় নিয়মিত পান করলে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ে। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। তবে ইতিমধ্যেই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে এটি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখুন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়: অ্যালো ভেরার পাতার নীচে ল্যাটেক্সটি নামে হলুদ রঙের আঠালো পদার্থ পাওয়া যায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকর।