Advertisement
E-Paper

ভরা বর্ষায় কী ভাবে সতর্ক থাকবেন?

সব সময় হাত ধুয়ে তাদের খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সারা বছরই হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হয়। বর্ষাকালে যেন এই অভ্যাসের ফাঁকি না হয় সেই দিকটা দেখতে হবে। এমনি সদ্যোজাত বা বাচ্চাদের কেউ কোলে নিলে তিনিও যেন হাত ধুয়ে শিশুদের গায়ে হাত দেন সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। একই সঙ্গে বাচ্চা থেকে শুরু করে সকলেরই এই সময়ে জল ফুটিয়ে খাওয়া উচিত। জল  টগবগ করে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে সকলের পান করা উচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত আবশ্যিক। আপনার ব্যবহার করা জল পরিশ্রত কিনা সেটাও খেয়াল রাখুন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮ ০৩:০০
রোগী দেখছেন চিকিৎসক। ছবি: উদিত সিংহ

রোগী দেখছেন চিকিৎসক। ছবি: উদিত সিংহ

মাঝে মধ্যেই জোরে বৃষ্টি নামছে। অনেক এলাকাতেই জমে থাকছে জল। এই জমা জল থেকে ছড়াতে পারে নানা রোগ। পাশাপাশি, ঠান্ডা লেগে সর্দি, কাশি, জ্বর, নানা পেটের সমস্যা তো আছেই। ভরা বর্ষায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক শান্তনুকুমার রায়

প্রশ্ন: জোরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সময়ে কী কী রোগ হতে পারে?

উত্তর: বর্ষার সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময়ে নানা ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়ার সক্রিয়তা বাড়ে। ফলে এই সময়ে বেশ কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। যেমন, এই সময়ে সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি, খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডায়েরিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিসের মতো রোগ দেখা দেয়। এ ছাড়াও ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিসও এই সময় হয়ে থাকে।

প্রশ্ন: এই রোগগুলি থেকে পরিত্রাণ পেতে গেলে কী করতে হবে?

উত্তর: সাধারণত জ্বর, সর্দি-কাশি হয় ঠান্ডা লেগে। বর্ষায় সময়ে বৃষ্টির জলে ভিজে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেশি। তাই প্রথমত, যতটা সম্ভব এই সময়ে বৃষ্টির জলে ভেজার ব্যাপারটি এড়িয়ে চলতে হবে। আর যদি ভিজে যান, তা হলে ঘরে ফিরেই আগে ভিজে জামা কাপড় ছেড়ে ফেলুন। তার পরে ভাল করে স্নান করে নিতে হবে। কারণ, বৃষ্টির জল শরীরে বসে গেলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা সব থেকে বেশি থাকে।

প্রশ্ন: পেটের সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে?

উত্তর: এই সময় পেটের রোগ একটি অন্যতম সমস্যা। এ সমস্যা হলেই আগেই চিকিৎসকের কাছে যান। তার পরামর্শ নিয়ে কাজ করুন। কারণ, অযথা রোগ ফেলে রাখলে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

প্রশ্ন: পেটের সমস্যা হলে কী করতে হবে?

উত্তর: সাধারণ পেটের সমস্যা হলে নুন-চিনির জল খাওয়া উচিত। এ ছাড়াও পাতলা ডাল দিয়ে ভাত খাওয়া যেতে পারে । আর সমস্যা যদি বেশি হয় তা হলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রশ্ন: বর্ষায় এই পরিচিত রোগগুলি ছাড়া আর কিছু রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে কি?

উত্তর: হ্যাঁ, বর্ষায় সম্প্রতি একটি রোগ খুব হচ্ছে, সেই রোগটির নাম লেপ্টোস্পাইরোসিস। এই রোগ সম্পর্কেও আমাদের সচেতন
থাকতে হবে।

প্রশ্ন: এই রোগ কী ভাবে হয়? এটি কি কোন জলবাহিত রোগ?

উত্তর: হ্যাঁ, আগে বলি রোগটি খুব একটা পরিচিত রোগ নয়। আর রোগটি ঘটে খুবই সাধারণ ভাবে। এই রোগ প্রধানত ইঁদুর, ছুঁচো বা বেজি ইত্যাদি প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ থেকে ছড়ায়। সাধারণত এই সব প্রাণীরা মাটিতেই তাদের বর্জ্য ত্যাগ করে। বর্ষার সময় তা জলে মিশে যায়। ফলে জমে থাকা জল থেকেই এই রোগ বেশি ছড়ায়।

প্রশ্ন: এই রোগ থেকে কী ভাবে সচেতন হবে সাধারণ মানুষ?

উত্তর: প্রথমেই জমা জল এড়িয়ে চলতে হবে। অনেক সময় আমরা দেখি, কোথায় জল জমে আছে। সেই জলের মধ্য দিয়েই যেতে হবে। জুতো হাতে নিয়ে খালি পায়েই আমরা সেই জলের মধ্য দিয়ে যাই। ছুঁচো বা বেজি ইত্যাদির প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ মিশ্রিত জল এই সময়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। পায়ের ফাটা অংশ বা কাটাছেঁড়ার জায়গা দিয়েই এই জল শরীরে প্রবেশ করে। ফলে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। তাই যদি জমা জলের ওপর দিয়ে কোথাও যেতে হয়, তা হলে খালি পায়ে নয়, জুতো পরেই জল পারাপার করুন। আর যতটা পারেন জমা জল এড়িয়ে চলুন।

প্রশ্ন: এই রোগের ক্ষেত্রে কী কী উপসর্গ দেখা যায়?

উত্তর: এই রোগের ক্ষেত্রে জ্বর প্রথম উপসর্গ। জ্বরের সঙ্গে হাতে পায়ে তীব্র যন্ত্রণা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করলে তবেই এই রোগ ধরা পড়বে। সাধারণ ভাবে এই রোগ ধরা যাবে না। আপনি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সেটা কোনও বিশেষ উপসর্গ দ্বারা বুঝতেও পারবেন না।

প্রশ্ন: বৃষ্টিতে না ভিজলেও কি এই সময়ে ঠান্ডা লাগতে পারে?

উত্তর: বৃষ্টির জল ছাড়াও এই সময়ে ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা হতে পারে। সাধারণত এই সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্প অনেক বেশি থাকে, ফলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থেকে যায়। রাতে জানলা না খুলে শোয়াই এই সময়ে শ্রেয়। কারণ, বাইরের জলীয় বাষ্পে ভরা বাতাস গায়ে লেগে ঠান্ডা লাগতে পারে। যাঁদের অল্পেই বেশি ঠান্ডা লেগে যায়, তাঁদের এই সময়ে একটু বেশি সচেতন থাকতে হবে।

প্রশ্ন: এই আবহাওয়া থেকে শিশুদের কী ভাবে সুরক্ষিত রাখা যাবে?

উত্তর: শিশুদের ক্ষেত্রেও একই প্রতিষেধক। কোনও ভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। শিশুরা যাতে বৃষ্টিতে না ভেজে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। স্কুল থেকে ফেরার সময়ে বা বৃষ্টিতে ভিজে খেলাধুলো করলে বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভিজে জামাকাপড় খুলে ফেলতে বলুন এবং ভাল করে স্নান করতে বলুন। একেবারে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফলে তাদের নিয়ে বেশি সর্তক থাকতে হবে। শরীর খারাপ বেশি হলে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

প্রশ্ন: ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা করা ছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে আর কি কিছু সতর্কতা নেওয়া যেতে পারে?

উত্তর: অবশ্যই। আর একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। সব সময় হাত ধুয়ে তাদের খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সারা বছরই হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হয়। বর্ষাকালে যেন এই অভ্যাসের ফাঁকি না হয় সেই দিকটা দেখতে হবে। এমনি সদ্যোজাত বা বাচ্চাদের কেউ কোলে নিলে তিনিও যেন হাত ধুয়ে শিশুদের গায়ে হাত দেন সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। একই সঙ্গে বাচ্চা থেকে শুরু করে সকলেরই এই সময়ে জল ফুটিয়ে খাওয়া উচিত। জল টগবগ করে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে সকলের পান করা উচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত আবশ্যিক। আপনার ব্যবহার করা জল পরিশ্রত কিনা সেটাও খেয়াল রাখুন।

প্রশ্ন: অপরিস্রুত জল পান করলে কী কী রোগ হতে পারে?

উত্তর: এই অপরিস্রুত জল থেকে টাইফয়েড, কলেরা এবং জন্ডিসের মতো রোগ হতে পারে। টাইফয়েডের জন্য দায়ী সালমোনেলা টাইফি ব্যাকটিরিয়াটি। জ্বর আর মাথাব্যথা টাইফয়েডের প্রধান উপসর্গ। গলা, পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথাও হতে পারে। তাই আগেই বলেছি, জ্বর হলে ফেলে না রেখে, নিজে চিকিৎসা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হতে পারে জন্ডিস বা হেপাটাইটিসের মতো রোগও। এটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। এতে প্রধানত যকৃৎ আক্রান্ত হয়। এর প্রধান লক্ষণ ক্ষুধামান্দ্য মানে খেতে অনিচ্ছা তৈরি হওয়া। শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যায়। প্রস্রাব হলুদ হলে, চোখে সাদা অংশ হলুদ হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা দেখে বোঝা যায় জন্ডিস হয়েছে কি না।

লেপ্টোস্পাইরোসিস

• বর্ষায় সম্প্রতি একটি রোগ খুব হচ্ছে, সেই রোগটির নাম লেপ্টোস্পাইরোসিস। এই রোগ সম্বন্ধেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

• এই রোগ প্রধানত ইঁদুর, ছুঁচো বা বেজি ইত্যাদি প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ থেকে ছড়ায়। সাধারণত এই সব প্রাণীরা মাটিতেই তাদের বর্জ্য ত্যাগ করে। বর্ষার সময়ে তা জলে মিশে যায়। ফলে জমে থাকা জল থেকেই এই রোগ বেশি ছড়ায়।

• সাধারণ ভাবে এই রোগ ধরা যাবে না। আপনি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সেটা কোনও বিশেষ উপসর্গ দ্বারা বুঝতেও পারবেন না।

• এই রোগের ক্ষেত্রে জ্বর প্রথম উপসর্গ। জ্বরের সঙ্গে হাতে পায়ে তীব্র যন্ত্রণা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করলে তবেই এই রোগ ধরা পড়বে।

• অনেক সময়ে জুতো হাতে নিয়ে খালি পায়ে আমরা জমা জলের মধ্য দিয়ে যাই। ছুঁচো বা বেজি ইত্যাদি প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ মিশ্রিত জল এই সময়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। পায়ের ফাটা অংশ বা কাটাছেঁড়ার জায়গা দিয়েই এই জল শরীরে প্রবেশ করে। ফলে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়।

প্রশ্ন: বয়স্কদের এই সময়ে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত কি?

উত্তর: বয়স্ক ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে না। তাই বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সময়ে বেশি দেখা যায় নিউমোনিয়া। ঠাণ্ডা লেগে নিউমোনিয়া যাতে না হয় সেই দিকে তাঁদের সতর্ক হতে হবে। একটাই কথা ঠান্ডা লাগানো চলবে না। বুকে সর্দি বসে গেলে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই খুব সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়।

প্রশ্ন: এ সব ছাড়া আর কোন রোগ কি এই সময়ে হওয়ার আশঙ্কা থাকে?

উত্তর: এই সময়ে আর একটি রোগ দেখা যায় সেটি হল চর্মরোগ। বর্ষার সময় কুঁচকি, বগলে ছত্রাকের প্রভাবে বিশেষ এক ধরনের চর্মরোগ হয়। এই রোগ থেকেও সাবধানে থাকতে হবে।

প্রশ্ন: বর্ষাকালে চর্মরোগ আটকাতে হলে কী করতে হবে?

উত্তর: ভিজে অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকলে চর্ম রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই ভিজে অবস্থা থাকলেও যতটা দ্রুত সম্ভব জামাকাপড় ছেড়ে ফেলতে হবে। জমা জলে পা দিলেও অনেক সময় চুলকানি জাতীয় রোগ হয়। তাই সেই দিকেও নজর দিতে হবে। নোংরা জমা জল এড়িয়ে চলতে হবে। বর্ষার সময়ে পুরোপুরি পা ঢাকা জুতো ব্যবহার করা যেতে পারে। গা ভিজে থাকলে দ্রুত মুছে ফেলুন।

প্রশ্ন: চর্মরোগ বাড়লে কী ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে?

উত্তর: প্রাথমিক ভাবে চামড়ার কোনও সমস্যা হলে পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। যদি দেখেন সমস্যা বাড়ছে, তা হলে নিজে ডাক্তারি না করে দ্রুত কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

প্রশ্ন: গ্রামের মানুষেরা বর্ষার সময়ে নানা সমস্যায় পড়েন। তাঁদের ক্ষেত্রে কী সমস্যা হয়?

উত্তর: দেখুন দীর্ঘদিন ডাক্তারি করার ফলে একটা জিনিস লক্ষ করেছি, এই সময়ে গ্রামগঞ্জে সাপের উপদ্রব বাড়ে। ফলে তাদের আগে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। জমিতে কাজ করার সময়ে সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে গামবুট ব্যবহার করতে হবে। যদি কাউকে সাপে কামড়ায় তাহলে ওঝা, বা গুণিনের কাছে না গিয়ে রোগীকে আগে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সাপে কামড়ালে কী করণীয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। একই সঙ্গে গ্রামের মানুষদের ক্ষেত্রেও লেপ্টোস্পাইরোসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে তাঁদেরও এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।

প্রশ্ন: বর্ষার রোগগুলি থেকে বাঁচাতে গেলে কোন কোন দিক খেয়াল রাখতে হবে?

উত্তর: দেখুন, সমস্যাটা সৃষ্টি করি আমরা। বর্ষার রোগের প্রধান উৎস হল জল। কোথাও যেন জল না জমে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাড়িতে কোনও পাত্র, মালাই, ফুলের টবে জল জমতে দেওয়া যাবে না, কারণ, এই জমা জলে মশা জন্মাবে। একই সঙ্গে নর্দমাগুলিও পরিষ্কার রাখতে হবে। নর্দমার জল যেন কখনওই রাস্তায় না দাঁড়ায় সেই দিকে আমাদের বেশি সচেতন হতে হবে। কিন্তু আমরাই নালাতে প্লাস্টিক ফেলে নর্মদা বুজিয়ে ফেলছি।

প্রশ্ন: বর্ষার সময়ে খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কি বিশেষ কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে?

উত্তর: এই সময়ে বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে। ফাস্ট ফুড একদমই না। ঘরের হালকা খাবার এই সময়ে খুবই উপকারি। তেল, মশলা যুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলুন। তবে বাড়ির রান্না করা খাবার খান।

প্রশ্ন: জোরে বর্ষা শুরু হয়েছে, এখন রোগীর চাপ কেমন? এই সময়ে বর্ধমানে নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কি বাড়ছে?

উত্তর: এখন আমরা অনেক সচেতন। বর্ষায় মশাবাহিত যে রোগগুলির কথা বললাম সেগুলি আগের থেকে কম হচ্ছে। এ বার লেপ্টোস্পাইরোসিস রোগে আক্রান্ত রোগী আমি এখনও সে ভাবে পাইনি। সাধারণত রোগীরা আসছেন জ্বর আর পেটের সমস্যা নিয়ে। এই সব রোগের ক্ষেত্রে শিশু আর বয়স্কদের ভিড়ই বেশি ।

প্রশ্ন: তবে এটা কি বলা যায়, বর্ধমানে এ বারের বর্ষায় এখনও রোগব্যাধির সে ভাবে প্রাদুর্ভাব নেই?

উত্তর: হ্যাঁ, পরিস্থিতি এখনও অনেকটাই ভাল।

সাক্ষাৎকার: সুপ্রকাশ চৌধুরী

Monsoon Disease Mosquito Leptospirosis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy