সময়ে কাজ সেরে সময়ে বেরোন, এটাই হোক কাজের নীতি। —নিজস্ব চিত্র।
অফিস থেকে দেরি করে ফেরা বা বাড়িতেও অফিসের কাজ নিয়ে আসা। এমন রুটিন কিছুতেই বদলাতে পারেন না বেশ অনেকেই। পরিবারের মুখভার, সন্তানের মনখারাপ, বাবা-মায়ের অভিযোগ সবই মেনে নিতে হয় একপ্রকার বাধ্য হয়েই। এ ছাড়া অফিসের চাপে হারাতে বসেন নিজস্ব সময় ও শখ।
এমনিতে যে কোনও অফিসেই কাজের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। কিন্তু সেই সময় মেনে কাজ করতে পারেন ক’জন! ফলে হয় অতিরিক্ত সময় থেকে কাজ সারতে হয়, নয়তো বছরের শেষে জমে যায় কাজের স্তূপ। ডেডলাইনের চাপে তখন দীর্ঘ সময় বাধ্য হয়েই থেকে যেতে হয় অফিসে।
কখনও সখনও কাজের চাপের উপর নির্ভর করে একটু বশি সময় থাকতে হতেই পারে অফিসে। কিন্তু তা বলে প্রায়ই! আপনিও কি কর্মক্ষেত্রে এমনই ঘটনার সম্মুখীন হন রোজ? তা হলে আজ থেকেই মানুন এ সব কৌশল। এতে নিত্য দেরির হাত থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।
আরও পড়ুন: ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা জল গলায় ঢালেন? জানেন কী বিপদ হতে পারে?
অফিসের প্রতি দিনের কাজের একটা তালিকা করে ফেলুন প্রথমেই। প্রতিটা কাজের জন্য নির্দষ্ট সময় বরাদ্দ করুন। কী কী কাজ আবশ্যিক ভাবে করতে হবে, তার পাশে হঠাৎ এসে যাওয়া কাজের জন্যও রাখুন কিছুটা সময়। যদি সে দিন তেমন কিছু কাজ না আসে তা হলে আবশ্যিক কাজগুলো আর এক বার মিলিয়ে নিতে সেই সময়টা কাজে লাগান।
কাজের মাঝে বিরাম নেওয়াও কাজেরই অঙ্গ। কিন্তু লক্ষ রাখবেন, আপনার বিরামের সময় যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়। বিদেশে বেশ কিছু অফিসে কাজের মাঝে অল্প সময় ঘুমিয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। আমাদের দেশে সে সব সুযোগ নেই। তবে প্রতি অফিসেই খাওয়াদাওয়া ও সামান্য বিরামের জন্য কিছুটা সময় বরাদ্দ করা থাকে। বিশ্রামের সময়কে অহেতুক লম্বা করবেন না। এতে কিছুটা অতিরিক্ত সময় হাতে থাকবে। আজকাল অনেক অফিসেই ক্যান্টিন থাকে। তবু অনেকেই খাবারের অনলাইন অর্ডার দেন। তেমন করলে আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন সে দিন কোন রেস্তরাঁ থেকে কী অর্ডার করবেন। তা হলে অহেতুক খাবারের নানা বিকল্প বাছতে সময় নষ্ট হবে না।
আরও পড়ুন: এই সব স্বভাব অজান্তেই আপনার চাকরি কেড়ে নিতে পারে, তাই সাবধান!
মনঃসংযোগ করুন। একসঙ্গে অনেক কাজ করার বদলে এক একটা কাজে ফোকাসড থাকুন। আগে একটা শেষ হোক, তার পর আর একটা। এতে মাল্টিটাস্কিং করতে হলেো সময় অনেক বাঁচবে। ঘন ঘন সিট ছেড়ে উঠে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আছে? তা হলে তাতে রাশ টানুন। এতে শরীর ও সময় দুইয়েরই ক্ষতি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ফোনে ব্যস্ত থাকার অভ্যাস আছে? কিংবা অনলাইন শপিং করার অভ্যাস? সে সব অভ্যাসকে অফিসে টেনে আনবেন না। এতে অনেকটা সময় অপচয় হয়। অনেকেই কাজের ক্ষেত্রে অনেকটা দায়িত্ব একার ঘাড়ে নিতে যান, কখনও বা নিতে বাধ্য হন। এমনটা করলে কিন্তু কাজও ভাল হয় না, সময়ও বজায় রাখা যায় না। তার চেয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব না নিয়ে যে কাজের জন্য আপনি নিযুক্ত সেটাই মন দিয়ে করুন। কেউ জোর করে সে দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে আলোচনায় বসুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy