Advertisement
২৮ মার্চ ২০২৩
Ant

পিঁপড়ে থেকে খাবারে সংক্রমণ? মোকাবিলা করুন এই ভাবে

পিঁপড়ে বড় বালাই। দেওয়াল, মেঝের ফাটল, কিংবা শ্বেত পাথরের মার্বল বসানো শৌচাগার। তার মধ্যে সংক্রমণের ভয়।

পিঁপড়ে থেকে খাবারে সংক্রমণ ছড়ায়। ফাইল ছবি।

পিঁপড়ে থেকে খাবারে সংক্রমণ ছড়ায়। ফাইল ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২০ ১৬:১৩
Share: Save:

বর্ষাকালের সঙ্গে এদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এদের জ্বালায় শুধু বর্ষা কেন, বছরের অন্য সময়ও অতিষ্ঠ হয় না, এমন লোক থুরি এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যদিও করোনা আবহে সারাদিন বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে নজর দিচ্ছেন প্রত্যেকে। তবু পিঁপড়ে বড় বালাই। দেওয়াল, মেঝের ফাটল, কিংবা শ্বেত পাথরের মার্বল বসানো শৌচাগার। পিঁপড়ের এই উৎপাতের থেকে রেহাই কীভাবে মিলতে পারে?

Advertisement

কিছু কিছু পিঁপড়ে (ফায়ার ও হারভেস্টার) রয়েছে, যা মানুষকে কামড়ায়। কাঠ পিঁপড়ে ক্ষতি করে বাড়ি-ঘরেরও। এদিকে, খাবারে সংক্রমণের অন্যতম কারিগর পিঁপড়ে। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ''পিঁপড়ে থেকে খাবারে সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ খাবারে কোনও সংক্রমণ মানে পেটের সমস্যা। এমিনতেই বর্ষায় ডায়ারিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে।'' তবে আতঙ্ক নয়, পিঁপড়ে থেকে নিষ্কৃতি মিলতে পারে বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মানলেই।

চক: রান্নাঘর কিংবা দেওয়ালে চক গুঁড়ো করে কিংবা চকের দাগ কেটে রাখা যেতে পারে। চক বা ক্যালসিয়াম কার্বনেটের গন্ধে পিঁপড়ের উৎপাত কমতে পারে।

আরও পড়ুন: এই মশলায় হরেক গুণ, এতেই জব্দ করোনা?​

Advertisement

লেবু: বাড়ির যে অংশ দিয়ে পিঁপড়ে আসছে, বাড়ির বারান্দা, প্রবেশপথ, রান্নাঘরের দেওয়াল কিংবা মেঝেতে পাতি লেবুর খোসা রেখে দেওয়া যায়। একই ভাবে লেবুর রসও দিয়ে রাখলে পিঁপড়ের উপদ্রব কমে। লেবুর গন্ধ পিঁপড়েদের ঘোরতর অপছন্দ। তাই রান্নাঘরের স্ল্যাবে লেবু রেখে দিলেও ফল মিলবে। তবে সেই লেবুতে যেন কিছুতেই কোনও নুন-চিনি লেগে না থাকে, তাহলে কিন্তু উপদ্রব বাড়বে।

কমলা লেবু: সারা বছরই বাজারে এখন কমলা লেবু পাওয়া যায় বললে ভুল হবে না। গরম জল ও এই লেবুর খোসা দিয়ে একটা ক্বাথ তৈরি করে সেটি পিঁপড়ে ঢোকার রাস্তায়, রান্নাঘরের স্ল্যাবে দিয়ে রাখলে কমবে উৎপাত।

আরও পড়ুন: লকডাউনে একটুও রোদ লাগেনি গায়ে? ভয়াবহ এ সব সমস্যা হতে পারে ভিটামিন ডি-র অভাবে​

গোলমরিচ: পিঁপড়েদের দু'চোখের বিষ এই মশলা।বাড়ির বারান্দা, প্রবেশপথ, রান্নাঘরের দেওয়াল কিংবা মেঝেতে জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে গোলমরিচের গুঁড়ো।

সাদা ভিনিগার: সাদা ভিনিগারের গন্ধ মোটেও সহ্য করতে পারে না পিঁপড়ে। একই পরিমাণে জল এবং সাদা ভিনিগার মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সেটি দিয়ে রাখতে হবে পিঁপড়ে ঢোকার প্রবেশপথগুলিতে।

দারচিনি-লবঙ্গ-তেজপাতা : প্রাকৃতিক বিকর্ষকের কাজ করে এগুলি। পিঁপড়ে মোটেও এগুলির গন্ধ পছন্দ করে না। গরম চাটুতে এগুলি দিয়ে তারপর গুঁড়ো করে অল্প পরিমাণে ছড়িয়ে রাখলে পিঁপড়ে পালাতে বাধ্য।

পুদিনা পাতা: একটা কড়া গন্ধ আছে এই পাতার। সামান্য থেতো করে এই পাতা রান্নাঘর ও মেঝের কোণের অংশগুলিতে দিয়ে রাখা যেতে পারে। পুদিনা তেল জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘরে স্প্রে করলেও পিঁপড়ের হাত থেকে রেহাই মিলবে।

বাজারচলতি বেশ কিছু স্প্রে রয়েছে, যেগুলিতে পিঁপড়ে জব্দ হয়। তবে খুব বেশিক্ষণ সময় সেগুলি কাজ করে না অনেক ক্ষেত্রেই। তাই ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে লেবু কিংবা চকের গুঁড়ো ব্যবহার করা যেতে পারে। তাতেই মিলবে রেহাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.