বেড়ানোর সময়ে কী করবেন, আর কী করবেন না?
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
• বাচ্চার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে ডায়পার ও বেবি ওয়াইপস নিন। অনেকে ইদানীং ফোল্ডেবল ডায়পার চেঞ্জিং স্টেশনও সঙ্গে রাখেন। যাতায়াতের মাঝেই বাচ্চার ন্যাপি বদলানো যায়।
• এসি ব্ল্যাঙ্কেট বা শিশুদের ব্যবহার্য ব্ল্যাঙ্কেট থাকুক। শীতল আবহাওয়ায় আরাম দেওয়া থেকে শুরু করে বাচ্চাকে শোয়ানোর কাজে লাগে।
• লাগেজ তোলা, ট্রেন বা প্লেনে ওঠার সময়ে ফ্রন্ট স্লিং ব্যবহার করতে পারেন।
• ইদানীং বাজারে ফোল্ডেবল জিনিস পাওয়া যায়। যেমন ইনফ্লেটেবল বাথটাব, কমোড সিটিং। শিশুকে পরিষ্কারের জন্য ইনফ্লেটেবল বাথটাব ফুলিয়ে
নিতে পারেন। আবার একটু বড় বয়সের শিশুর জন্য কমোডের উপরে বসিয়ে দিতে পারেন
কমোড সিটিং।
• শিশু ব্রেস্টফিডিংয়ে অভ্যস্ত থাকলেও অতিরিক্ত ফিডিং বটল সঙ্গে রাখুন। যত্রতত্র খুদেকে খাওয়াতে সুবিধে হবে।
• সঙ্গে থাক ডিসইনফেক্টিং জেল। প্রয়োজনে তা দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিলেই চলে।
• সঙ্গে অবশ্যই ইলেকট্রিক কেটল, ছোট রাইস কুকার নিন। প্রয়োজনে তাতেই বাচ্চার খাবার বানাতে পারবেন। আবার ইমার্শন হিটার নিতে পারেন।
• পাহাড়ি পথে অনেক শিশুর বমি করার প্রবণতা থাকে। যথেষ্ট পরিমাণে পাউচ সঙ্গে রাখুন।
প্রবীণদের ক্ষেত্রে
• বয়স্ক ও বাচ্চা সঙ্গে থাকলে অতিরিক্ত সময় হাতে নিয়ে বেরোবেন। স্টেশনে পৌঁছে প্রবীণদের জন্য ব্যাটারিচালিত গাড়ির জন্য অপেক্ষা করুন। ফ্লাইটে গেলে চেক-ইনের সময়ে হুইলচেয়ারের কথা বলে রাখুন। যা ফ্লাইট পর্যন্ত পৌঁছে দেবে।
• স্থানীয় পরিবহণে অসুবিধে হলে শেয়ারে গাড়ি নিয়ে নিতে পারেন। গাড়িতে ওঠা-নামার ব্যবস্থা, পা ছড়ানোর কতটা জায়গা রয়েছে, দেখে নিন।
• বেড়ানোর ফাঁকে যথেষ্ট বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখুন। লং ড্রাইভে থাক একাধিক হল্ট।
• দূরে বা বিদেশে বেড়াতে গেলে বয়স্ক মানুষের জন্য ট্রাভেল ইনশিয়োরেন্স করাতে পারেন।
• বেশি উচ্চতায়, কিছু জঙ্গলে বা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের ক্ষেত্রে বয়স্কদের নিয়ে যাওয়া অনুমতি সাপেক্ষ। তাই এ ক্ষেত্রে আগে থেকে বিশদে জেনে রাখুন।
• বাচ্চা ও বয়স্ক— দু’পক্ষের জন্যই সবচেয়ে জরুরি বমি, পেটখারাপ, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জির ওষুধ। সঙ্গে মসকিউটো রেপেল্যান্ট, তুলো, মলম, ডিসইনফেক্ট্যান্ট জাতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস রাখুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy