কখনও পকেটে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় বাধ্য হয়ে, কখনও বা শখের জিনিস কিনে আশ মেটাতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করি আমরা। কেনার সময় ব্যবহার তো করে ফেলি, তারপর প্রতি মাসে বিল দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। জেনে নিন ক্রেডিটা কার্ড ব্যবহার করার কিছু টিপ্স।
১। অটোমেটেড পেমেন্ট: প্রতি মাসে সর্বনিম্ম পেমেন্ট করা বোকামো। কিন্তু অনেক সময়ই পে চেক বা বেতন পাওয়ার দিনের সঙ্গে ক্রেডিট কার্ডের বিল দেওয়ার তারিখ ম্যাচ করে না। তাই দেরি করে বিল দিয়ে বেশি টাকা বা পেনাল্টি ফি এড়াতে অনলাইনে অটোমেটেড মিনিমাম পেমেন্ট করে নিন। কার্ড দিয়ে রেজিস্টার করা মানে আপনি কখনওই পেমেন্টের তারিখ মিস করবেন না। আর তারপর বেতন এসে গেলে দ্বিতীয় বার পেমেন্ট করে দিন যাতে বেশি সুদ দিতে না হয়।
২। পেমেন্টের তারিখ বদলান: জানেন কি আপনি সংস্থাকে বলে নিজের ক্রেডিট কার্ড বিল দেওয়ার তারিখ বদলাতে পারেন? সংস্থাকে ফোন করে আপনার সমস্যার কথা জানান, বিলের তারিখ বদলাতে অনুরোধ করুন। যদি কোনও মতেই রাজি না হয় তখন বলুন, তা হলে আপনাকে বাতিল করতে হবে কার্ড। এটা শুনে অবশ্যই সেই সংস্থা তারিখ বদলে দেবে। কারণ গ্রাহক হারাতে কোনও সংস্থাই চায় না।
৩। ক্রেডিট সীমার অর্ধেকের নীচে থাকুন: ক্রেডিট কার্ডের বিল সব সময় আপনার সর্বোচ্চ ক্রেডিট সীমার অর্ধেকেরও নীচে রাখার চেষ্টা করুন। বিল যত বেশি হবে, সুদের পরিমাণ তত বাড়তে থাকবে। যখনই দেখবেন অর্ধেক সীমা ছাড়াচ্ছে তখনই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বন্ধ রাখুন কিছু দিন। আগে সেই টাকা মিটিয়ে নিন, তারপর আবার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন।
৪। ফেলে রাখবেন না: যদি কার্ড ব্যবহার না করেন তা হলে তা ফেলে রাখবেন না। অনেকে বেশ কিছু টাকার বিল হওয়ার পর অতিরিক্ত ব্যবহার কমাতে কার্ড কোথাও লুকিয়ে রাখেন। তারপর ভুলে যান। প্রতি মাসে অল্প অল্প করে টাকা দিয়ে গেলেও এক সময় আপনার ক্রেডিট বেড়ে যাবে।
৫। পুরো টাকা দিন: যদি আপনার কার্ডে ব্যালান্স থাকাকলীন কার্ড বন্ধ করে দিতে চান তা হলে পুরো টাকা মিটিয়ে দিন। এমনকী, বাকি সুদও। না হলে কার্ড বন্ধ করে দেওয়ার পরও আপনার কাছে সুদের জন্য বিল আলতে পারে। ব্যাপারটা বুঝতে না পেরে সংস্থার সঙ্গে অযথা বচসায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। তাই কার্ড বন্ধ করার সময় আগে থেকেই কথা বলে টাকা মিটিয়ে দিন। আপনি যে কার্ড বন্ধ করেছেন সেই প্রমাণও রাখুন নিজের কাছে।
৬। ফিক্সড ইন্টারেস্ট রেট কম রাখুন: ফিক্সড ইন্টারেস্ট মানে কিন্তু আপনার ইন্টারেস্ট রেট একই থাকবে তা নয়। ফিক্সড ইন্টারেস্ট রেট মানে আপনার পেমেন্ট তারিখের ১৫ দিন আগে আপনাকে জানাতে হবে। কিন্তু যেহেতু আমরা বিল স্টেটমেন্ট ভাল করে পড়ি না তাই ইন্টারেস্ট রেট বেড়ে যাচ্ছে সেটা বুঝতে পারি না। সংস্থাকে ফোন করে কম ইন্টারেস্ট রেটের জন্য অনুরোধ করুন। যদি না মানতে চায় তাহলে পুরনো কার্ড ছেড়ে নতুন কার্ড নিন।
৭। টাকা তুলবেন না: স্টেটমেন্ট ভাল করে পড়ুন। তা হলেই বুঝতে পারবেন এটা কতটা ভুল। কোনও জিনিস কেনার জন্য সুদের হার কম হলেও টাকা তুললে ইন্টারেস্ট রেট তরতর করে বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: প্রতি দিন চোখের যত্ন নিন এ ভাবে, ১০ টিপ্স
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy