কাজের চাপ আর ব্যস্ততায় সব সময় কি স্ট্রেসড লাগে আপনার? তার উপর রয়েছে লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপের চাপ। স্ট্রেস কাটাতে যখন কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না, তখন ছোট্ট একটা কাজই আপনাকে স্ট্রেসমুক্ত করে ফেলতে পারে নিমেষে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্ট্রেস কাটাতে সবচেয়ে কার্যকর সঙ্গীর উপস্থিতি, তার গন্ধ। কিন্তু সঙ্গী যদি দূরে থাকেন? তা হলে সঙ্গীর পোশাক শুঁকলেও দূর হবে স্ট্রেস। ঠিক যেমন অচেনা মানুষের গন্ধ বাড়িয়ে দিতে পারে স্ট্রেস। অন্তত এমনটাই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মারলিস হোফার বলেন, অনেক মহিলাই সঙ্গীর শার্ট পরেন। সঙ্গী বাড়িতে না থাকলে বিছানার যে পাশে সঙ্গী ঘুমোন সেই পাশে শুয়ে ঘুমোন। কিন্তু কেন এমনটা করছেন তা না জেনেই করেন। আমাদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে সঙ্গীর গন্ধ আমাদের স্ট্রেস কাটিয়ে তোলে।
এই গবেষণার জন্য গবেষকরা ৯৬ জোড়া দম্পতিকে বেছে নেন তাঁরা। প্রথমে পুরুষদের একটি করে পরিষ্কার টি-শার্ট পরতে দেওয়া হয় ২৪ ঘণ্টার জন্য। কোনও রকম ডিওডরান্ট, পারফিউম ব্যবহার করতে বারণ করা হয়। ধূমপান থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়। ২৪ ঘণ্টা পরার পর শার্টগুলো ফ্রিজ করে রাখা হয় যাতে গন্ধ থেকে যায়।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত স্ট্রেস এই ৫ ভাবে ক্ষতি করে আপনার ত্বকের
এরপর সেই শার্টগুলোই মহিলাদের শুঁকতে দেওয়া হয়। বলা হয় না সেই শার্ট তাঁর সঙ্গীই পরেছিলেন নাকি অন্য কোনও পুরুষ। এরপর তাদের মক জব ইন্টারভিউ ও মেন্টাল ম্যাথের পরীক্ষা নেওয়া হয়। স্ট্রেসের মাত্রা পরীক্ষা করতে কিছু প্রশ্ন করার পাশাপাশি তাদের স্যালাইভা গ্রহণ কর্টিসলের পরিমাণও পরিমাপ করে দেখা হয়।
দেখা যায়, যে মহিলারা নিজেদের সঙ্গীদের শার্ট পেয়েছিলেন তারা পরীক্ষার আগে এবং পরে কম স্ট্রেস অনুভব করছেন। অন্য দিকে দেখা যায়, যারা অন্য পুরুষদের শার্ট পেয়েছিলেন তাদের স্ট্রেসের মাত্রা অনেকটাই বেশি। হোফার বলেন, ছোটবেলা থেকেই অচেনা মানুষদের সম্পর্কে আমাদের মনে অজানা ভয় কাজ করে। বিশেষ করে অচেনা পুরুষদের প্রতি। তাই অচেনা মানুষের গন্ধে কর্টিসলের মাত্রা বাড়া খুবই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: স্ট্রেসমুক্ত ২০১৮ কাটাতে সাহায্য করবে এই ৫ হেলথ ট্রেন্ড
মহিলাদের ঘ্রাণশক্তি বেশি শক্তিশালী হওয়ার জন্য তাদেরকে নিয়ে পরীক্ষা করা হলেও পুরুষদের ক্ষেত্রেও এই থিওরি একই ভাবে কাজ করে বলে জানান হোফার।
‘এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন’
জার্নাল অব পারসোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজিতে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy