বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অধীনে থাকা একটি বেঞ্চ এই মামলা শুনবে। ছবি: সংগৃহীত।
ঋতুস্রাবকালীন ছুটি পাওয়া নিয়ে দেশ জুড়ে বেশ কিছু দিন ধরেই হইচই শুরু হয়েছে। কর্মরত মহিলা ও ছাত্রীদের ঋতুস্রাবকালীন ছুটির আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা ওঠে, এ বার তা শুনতে প্রস্তুত শীর্ষ আদালত। শুনানি হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি।
রাজ্যসরকারগুলিকে ঋতুস্রাবকালীন ছুটি নিয়ে নয়া আইন তৈরি করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য সু্প্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হয়। আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি আবেদনপত্র সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছেন। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অধীনে থাকা একটি বেঞ্চ এই মামলা শুনবে।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হওয়ার অবকাশ খুবই কম। তবু ইদানীং ঋতুস্রাব নিয়ে ‘চুপ’ করে থাকার মানসিকতায় বদল আসছে। বহু যুগ ধরে চলে আসা পুরনো রীতি ভেঙে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থাই মাসের চারটে দিন ‘ঋতুস্রাবকালীন’ ছুটি বরাদ্দ করছে। মাসের চারটে দিনের অসহ্য কষ্ট মুখ বুজে সহ্য করে, সব কাজ করে যাওয়া এক রকম অসাধ্যসাধনই বটে। মুখ ফুটে শারীরিক অবস্থার কথা বলে ছুটি চাইতে অস্বস্তি বোধ করেন অনেকেই। তাই কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই নীতি চালু করা হয়। ইতিমধ্যেই সুইগি, জ়োমাটো, বাইজু’স ওরিয়েন্ট ইলেকট্রিক মহিলা কর্মীদের জন্য এই ছুটি মঞ্জুর করার নোটিস জারি করেছে।
শীর্ষ আদালতের কাছে যে আবেদন জমা করা হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যসরকারগুলি যদি ঋতুস্রাবকালীন ছুটি মঞ্জুর না করে তা হলে তা সংবিধানের ১৪ নং ধারা লঙ্ঘন করা হবে। আবেদনে বলা হয়, ‘‘এটি অনুচ্ছেদ সংবিধানের ১৪ নং ধারার লঙ্ঘন। মহিলারা তাদের মাসিক চক্রের সময় শারীরবৃত্তীয় এবং মানসিক সমস্যায় ভোগেন এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তাঁদের সঙ্গে ওই ক’দিন ভিন্ন ভাবে আচরণ করা হয়। ভারতের নাগরিকত্ব আছে এমন সব মহিলাদের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম চালু হওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy