* ডায়াটিশিয়ান সুর্বণা রায়চৌধুরী এবং প্রিয়া আগরওয়াল একমত, স্মুদির প্রাথমিক কাজ শরীর ঠান্ডা রাখা। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় এই মরসুমে ঘামের পরিমাণ বাড়ে। তখন শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে স্মুদি।
* প্রিয়ার কথায়, ‘‘স্মুদিতে সাধারণত থাকে ঋতুকালীন একটি বা দু’টি ফল, সবুজ আনাজপাতি এবং স্বাদ বাড়ানোর জন্য দই, ক্রিম, আইসক্রিম বা অ্যাভোকাডো দেওয়া যেতে পারে।’’ সুবর্ণা বললেন, ‘‘স্মুদির ক্ষেত্রে কোন ফল বাছা হবে, সেটা নির্ভর করবে ব্যক্তির দৈহিক ওজনের উপরে। ওজন বাড়ানো না কমানো, উদ্দেশ্য অনুযায়ী ছোট এবং প্রাপ্তবয়স্করা স্মুদির উপকরণ বেছে নেবেন।’’ ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রেও ফলের নির্বাচন দেখেবুঝে করতে হবে।
* মুসাম্বি, কমলালেবু, তরমুজ জাতীয় ফল থেকে উন্নত মানের ভিটামিন সি পাওয়া যায়। সবুজ শাকপাতা থেকে পাওয়া যায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। সাধারণত পালং শাক, লেটুস, পার্সলে, বেসিল স্মুদিতে ব্যবহার করা হয়।
* সবুজ শাকপাতা থাকায় স্মুদি কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
* প্রোটিন ড্রিঙ্ক হিসেবেও অনেকে স্মুদি পছন্দ করেন। সে ক্ষেত্রে প্রোটিন পাউডারের বদলে দই, ছানা বা নারকেলের দুধ দিয়ে তৈরি করলে স্বাদ ও পুষ্টির ভারসাম্য বজায় থাকে।
* স্মুদি মুড-লিফ্টিং পানীয়। শরীর তরতাজা করার পাশাপাশি মন-মেজাজও ভাল করে দেয় এটি।
বাড়ির হেঁশেলে
বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত কয়েকটি স্মুদি তৈরির হদিস দিলেন ডায়াটিশিয়ান প্রিয়া আগরওয়াল।
* শরীরে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে এই পানীয়। এর জন্য লাগবে একটি কিউয়ি, ২৫ গ্রাম পালংশাক এবং ২০০ মিলিলিটার নারকেলের দুধ। মিক্সার বা ব্লেন্ডারে তৈরি করে নিতে পারেন এই স্মুদি। শরীরে লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেতরক্তকণিকার ভারসাম্য বজায় রাখতেও কাজে দেয়
এই পানীয়।
* গ্যাস-বদহজমের মতো সমস্যায় কাজে দিতে পারে একটি ফ্রোজ়েন কলা, একটি বীট এবং একটি নাশপাতির মিশ্রণে তৈরি স্মুদি।
* গরমে ঠান্ডার ছোঁয়া পেতে তৈরি করতে পারেন নিম্নলিখিত স্মুদি দু’টি। শসা, মিন্ট এবং নারকেলের দুধ দিয়ে তৈরি করা যায় স্মুদি। একটি গ্রিন আপেল, ২৫ গ্রাম পুদিনা পাতা এবং এক টেবিল চামচ মধু দিয়েও তৈরি করে নিতে পারেন স্মুদি।