দাঁড়ানো অবস্থায় দুই পা ক্রস করে বসতে-উঠতে পারছেন কি না দেখবেন তো। আপনার কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না লক্ষ্য করুন। কোনও কিছু না ধরে এই ভাবে বসতে উঠতে গেলে যদি টাল সামলাতে সমস্যা হয় তাহলে কিন্তু সাবধান। না, খুব তাড়াতাড়ি আপনার হাঁটুর কোনও সমস্যা হবে না। উল্টে এটা আপনার আয়ু কমে যাওয়ার সিগন্যাল।
বাড়িতেই দুই পা ক্রস করে বসা-ওঠার এই সামান্য পরীক্ষাই আপনাকে জানান দেবে আপনার আয়ু। তা জানতে গেলে অবশ্যই ছোট্ট একটা অঙ্ক কষতে হবে।
ক্লডিও গিল আরাউজো নামে ব্রাজিলের এক বিশেষজ্ঞ তাঁর রোগীদের এই পরীক্ষাটি করেই বের করে দিয়েছেন কে আর কত দিন বাঁচবেন। তাঁর এই অঙ্ক না কি অনেকাংশে মিলেও গিয়েছে। আর এই সহজ পরীক্ষায় আপনিও জানতে পারবেন আপনার আয়ু। কী ভাবে?
১) ফাঁকা ঘরের মাঝামাঝি দাঁড়ান।
২) আপনার আশপাশটা যেন ফাঁকাই থাকে। কারণ, আপনি যে পরীক্ষাটি করতে চলেছেন তা মুলত ভারসাম্যের পরীক্ষা। হাতের কাছে ধরার কিছু থাকলে কত বার আপনি ভারসাম্য হারাচ্ছেন তা বুঝতে নাও পারেন।
৩) সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থাতেই আপনার দুই পা ক্রস করুন।
৪) এ বার দু’হাত মুক্ত রেখে এই অবস্থাতেই হাঁটু ভাঁজ করে আস্তে আস্তে বসুন।
৫) কিছু ক্ষণ বসার পর একই ভাবে আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ান।
এ বার সেই ছোট্ট অঙ্কের বিষয়ে আসা যাক।
৬) দাঁড়ানো অবস্থা থেকে বসা এবং ফের দাঁড়ানো- এই পুরো পদ্ধতিটায় ধরুন ১০ পয়েন্ট রয়েছে। ৫ পয়েন্ট বসার জন্য আর বাকি ৫ পয়েন্ট ফের উঠে দাঁড়ানোর পর্যন্ত।
৭) পুরো পরীক্ষাটি সম্পূর্ণ করতে যত বার আপনি ব্যালান্স হারাবেন তত পয়েন্ট বাদ যাবে। অর্থাৎ আপনি যদি ১ বার টাল খান। তাহলে আপনি (১০ – ১) ৯ পয়েন্ট পাবেন।
ক্লডিও তাঁর ৫১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ২০০০ রোগীকে নিয়ে এই পরীক্ষা করেন। তিনি দেখেন যাঁরা ৮ পয়েন্ট পেয়েছেন। তাঁদের আর আয়ু সর্বাধিক ৬ বছর। আর যাঁদের পয়েন্ট ৩ বা তারও কম? তাঁদের আয়ুও আরও কম।
ক্লডিওর এই তত্ত্ব অবশ্যই ৫০ এবং তার বেশি বয়সীদের জন্য। তবে যে কেউ বাড়িতে এই পরীক্ষাটি করতেই পারেন। অঙ্কটি হয়তো আপনার ক্ষেত্রে মিলবে না। তবে ভারসাম্য রাখতে না পারা কিন্তু বিপদ সংকেত হতেই পারে।
ছবিতে দেখুন কী ভাবে করবেন এই পরীক্ষা?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy