Advertisement
E-Paper

চাউমিন অর্ডার করে টেবিলে এল মোমো, হাসিমুখে তা মেনেও নেন গ্রাহকেরা, কিন্তু কেন?

জাপানের এক রেস্তরাঁয় হয়তো আপনার পাশের টেবিলে করা অর্ডারটি নিয়ে আসা হবে আপনার টেবিলে, আর সেটাই মেনে নিতে হবে হাসিমুখে। কর্মীদের ভুলের অভিযোগ করলেও লাভের লাভ কিছুই হয় না। কেন এমনটা হয়?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৩ ১৮:৪২
ভুল অর্ডার টেবিলে এলেও মেনে নিতে হবে হাসিমুখে, কিন্তু কেন?

ভুল অর্ডার টেবিলে এলেও মেনে নিতে হবে হাসিমুখে, কিন্তু কেন? ছবি: শাটারস্টক।

কাজের ক্ষেত্রে ভুল করলে কিন্তু সেই ভুলের মাশুল দিতে হয়। টোকিওর এক রেস্তরাঁয় কিন্তু কর্মীদের ভুল করার স্বাধীনতা আছে। শুধু তা-ই নয়, কর্মীদের সেই ভুলের জন্য গ্রাহকরাও কোনও অভিযোগ জানাতে পারবেন না। বরং ভুলের জন্য উৎসাহিত করা হয় কর্মীদের।

জাপানের এই রেস্তরাঁয় গেলে আপনি যা অর্ডার করবেন, তা-ই রেস্তরাঁর কর্মী আপনার সামনে নিয়ে আসবে— এমনটা কিন্তু না-ও হতে পারে। হয়তো আপনার পাশের টেবিলে করা অর্ডারটি নিয়ে আসা হল আপনার টেবিলে, তবে সেটাই মেনে নিতে হবে হাসিমুখে। আসলে জাপানের সেই নির্দিষ্ট রেস্তরাঁয় সব কর্মীই ডিমেনশিয়ার রোগী। এই রোগে আক্রান্ত হলে স্মৃতিশক্তি কমে যায়, ভাবনাচিন্তা করার ক্ষমতা কমে যায়, যুক্তি দিয়ে বিচার করার ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। বয়স বাড়লে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হন। টোকিওর ‘শিরো আগুনি’ নামক রেস্তরাঁটিতে কর্মরত অধিকাংশ কর্মীই ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। ডিমেনশিয়ার রোগীদের সাহায্য করার উদ্দেশ্য নিয়েই ২০১৬ সালে এই রেস্তরাঁটি খোলা হয়। রেস্তরাঁটি ডিমেনশিয়া রোগটির বিষয় সচেতনতা আনতে বিভিন্ন রকম কর্মসূচির আয়োজন করে।

ডিমেনশিয়ার রোগীদের সমাজে খুবই অবহেলার চোখে দেখা হয়, অথচ তাঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করলে, তাঁদের হাসিখুশি রাখলে তাঁদের মানসিক পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। ডিমেনশিয়ার রোগীরা কাজ করতে পারেন না, তাঁদের উপর ভরসা রাখা যায় না— এই ধারণাকেই ভুল প্রমাণ করতে ডিমেনশিয়ার রোগীদের দিয়েই গোটা রেস্তরাঁ চালাচ্ছেন রেস্তরাঁর কর্ণধার। সেই রেস্তরাঁর গ্রাহকদের মতে, এই রেস্তরাঁর সব খাবারই সুস্বাদু। সুতরাং যা আপনি অর্ডার করছেন, তার বদলে অন্য কিছু আপনার টেবিলে এসে পৌঁছলেও আপনার আক্ষেপ হবে না।

টোকিওর ‘শিরো আগুনি’ নামক রেস্তরাঁটিতে কর্মরত অধিকাংশ কর্মীই ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত।

টোকিওর ‘শিরো আগুনি’ নামক রেস্তরাঁটিতে কর্মরত অধিকাংশ কর্মীই ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত।

ডিমেনশিয়ার রোগীদের সমাজে খুবই অবহেলার চোখে দেখা হয়, অথচ তাঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করলে, তাঁদের হাসিখুশি রাখলে তাঁদের মানসিক পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। ডিমেনশিয়ার রোগীরা কাজ করতে পারেন না, তাঁদের উপর ভরসা রাখা যায় না— এই ধারণাকেই ভুল প্রমাণ করতে ডিমেনশিয়ার রোগীদের দিয়েই গোটা রেস্তরাঁ চালাচ্ছেন রেস্তরাঁর কর্ণধার। সেই রেস্তরাঁর গ্রাহকদের মতে, এই রেস্তরাঁর সব খাবারই সুস্বাদু। সুতরাং যা আপনি অর্ডার করছেন, তার বদলে অন্য কিছু আপনার টেবিলে এসে পৌঁছলেও আপনার আক্ষেপ হবে না।

Restaurants Dimentia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy