প্রতীকী ছবি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি গ্রাস করেছে আমাদের। হাতে লেখা চিঠির প্রয়োজন ফুরিয়েছে। ই-মেল, হোয়াটসঅ্যাপেই সব কথা বলা হয়ে যায়। কিন্তু এ সব সত্ত্বেও ডাকব্যবস্থার অন্য এক গুরুত্ব থেকেই গিয়েছে। ডাকে হয়তো চিঠি পাঠানো হয় না, কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে গেলে নিরাপদ ভরসাযোগ্য ব্যবস্থা সেই ডাকই। শতাব্দীপ্রাচীন এই ডাকব্যবস্থার কথা মাথায় রেখেই ৯ অক্টোবর পালিত হয় ‘বিশ্ব ডাক দিবস’। ১৮৭৪ সালে এই দিনেই সুইৎজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন বা ইউপিইউ।
বিশ্ব ডাক দিবস কেন পালন করা হয়?
পাল্টে যাওয়া সমাজব্যবস্থাতেও ডাকের গুরুত্ব ঠিক কতটা, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই প্রতীকী উদ্যাপন। ব্যক্তিগত প্রয়োজনের পাশাপাশি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও ডাক ব্যবস্থার গুরুত্ব অনেক। একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশ্নে ডাক ব্যবস্থার অবদান কোনও ভাবেই অস্বীকার করা যায় না। ডাককে ঘিরে এই সচেতনতা যাতে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে, তাই এই প্রয়াস। এই বিশেষ দিনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডাকের পক্ষ থেকে নতুন কোনও পরিষেবার ঘোষণাও করা হয়। সেই সঙ্গে নিজেদের কর্মীদের পরিশ্রমকে পুরস্কৃত করতে এই দিনটাই বেছে নেন তাঁরা।
২০২১-এ বিশ্ব ডাক দিবসের থিম কী?
অতিমারি আমাদের স্বাভাবিক জনজীবন বারবার থমকে দিয়েছে। কমে গিয়েছে সামনাসামনি দেখা। তবু এই সময়েও মানুষে মানুষে সংযোগ যাতে বিচ্ছিন্ন না হয়, সারা পৃথিবী জুড়েই তার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে ডাকব্যবস্থা, তার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। সেই উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেওয়াই এ বারের ডাক দিবসের বিষয়বস্তু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy