আর কয়েকদিনেই অতীত এই ইয়াহু মেসেঞ্জার
নস্ট্যালজিক অ্যাপ! হয় নাকি?
১৯ বছর কোনও অ্যাপে মন-প্রাণ বাঁধা পড়ে থাকলে, তাকে তো নস্ট্যালজিক হয়ে উঠতে হবেই।
তখন সবে বাড়িতে কম্পিউটার এসেছে। সঙ্গে ইন্টারনেট সার্ফিং। কে এক জন বলল, দাঁড়া একটা মজার জিনিস দেখাই। প্রথমেই একটা আইডি খুলে দিল ‘ইয়াহু’তে। তার পর বলল, এটা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। তার পরই বলল, এ বার চ্যাট করতে পারবি? সারাক্ষণ গল্প। পৃথিবীর যে কারও সঙ্গে। এটাকে বলে ইয়াহু মেসেঞ্জার। ব্যস, শুরু হল গল্প। এ বার বন্ধ হচ্ছে সেই ইয়াহু মেসেঞ্জার। অরকুটের পর এ বার বন্ধ হতে চলেছে সেই ইয়াহু মেসেঞ্জারও।
এই সেই ইয়াহু, যে সবার প্রথম জানিয়েছিল, চাইলেও নিজের পরিচয় গোপন রাখা যায়। সহজেই কমানো যায় বয়স বা কারও সঙ্গে আলাপের সময় নিজের লিঙ্গও গোপন রাখা যায়।
দু’দশক পেরিয়ে এ বার চলেই যাচ্ছে এই ‘আদি’ মেসেজিং অ্যাপটি। ৮ জুন ইয়াহুর তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৭ জুলাই পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই মেসেঞ্জার। ১৯৯৮ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে এই অ্যাপ। প্রথমে ছিল ইয়াহু পেজার। পরে তার নাম বদলে হয় ইয়াহু মেসেঞ্জার। তার পর বহু দিন বেশ জনপ্রিয়ই ছিল এটি।
পুরনো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এই জায়ান্টটি বন্ধ হওয়ায় দেশ-বিদেশের অনেক অনুরাগীরই মনখারাপ।
স্ন্যাপচ্যাট, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জার, হ্যাং-আউট, ইনস্টাগ্রাম-সহ নানা অ্যাপের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান প্রজন্মের জন্য নতুন অ্যাপের ভাবনাও রয়েছে ইয়াহুর। ২০১৫ সালে ইয়াহু মেসেঞ্জারের পুরনো ভার্সনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ২০১৬ সালে নতুন একটি ভার্সন চালু হয়েছিল। ২০১৭ সালে ইয়াহু যুক্ত হয় অপর একটি সংস্থার সঙ্গে। ৪.৫ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ভেরিজন ইয়াহু কিনে নেয়। তবে ইয়াহু মেসেঞ্জার বন্ধ হলেও নয়া ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ‘স্কুইরেল বিটা’ চালু করেছে সংস্থাটি। এটি ডাউনলোড করা যাবে গুগলের প্লে-স্টোর থেকেও।
আরও খবর:
স্কুলবাস সাধারণত হলুদ রঙের হয় কেন জানেন?
কেন গাড়ির পিছনে Horn Please-এর মাঝে OK লেখা থাকে?
আগামী ছয় মাসের মধ্যে ইয়াহু মেসেঞ্জারের চ্যাট হিস্ট্রিগুলি ব্যবহারকারীরা বিশেষ ওয়েবসাইটে গিয়ে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তবে মেসেঞ্জার বন্ধ হলেও ইমেল বা ইয়াহু ফ্যান্টাসি বন্ধ হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy