Advertisement
১৭ মে ২০২৪

কিডনি পাচারে জড়িত সন্দেহে ধৃত ৩

ছ’মাসের কাজ সেরে ফেলা হবে এক দিনেই! এই টোপ ফেলেই শহরে কিডনি পাচারচক্র ফেঁদেছে প্রতারকেরা। বৃহস্পতিবার মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা তিন যুবককে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, এই চক্রের আরও অনেকে এখনও নাগালের বাইরে। তাঁদের খোঁজে এ বার তল্লাশি শুরু হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:১৩
Share: Save:

ছ’মাসের কাজ সেরে ফেলা হবে এক দিনেই! এই টোপ ফেলেই শহরে কিডনি পাচারচক্র ফেঁদেছে প্রতারকেরা। বৃহস্পতিবার মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা তিন যুবককে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, এই চক্রের আরও অনেকে এখনও নাগালের বাইরে। তাঁদের খোঁজে এ বার তল্লাশি শুরু হবে।

পুলিশ জানায়, আনোয়ার হোসেন নামে বিহারের এক বাসিন্দার কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য টাকার রসিদ দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতালের কর্তাদের। তার পরেই ওই রোগীর আত্মীয় মহম্মদ আনিসুরের জমা দেওয়া স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতিপত্র খতিয়ে দেখা শুরু হয়। সেটি যাচাই করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরে যোগাযোগ করেন তাঁরা। সেখান থেকেই হাসপাতালের কর্তারা জানতে পারেন, ওই অনুমতিপত্রের মেমো নম্বর ঠিক। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের নথিতে ওই মেমো নম্বরে অন্য এক জনের কিডনি প্রতিস্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আনিসুরের জমা দেওয়া অনুমতিপত্রে গোলমাল আছে, এই অভিযোগ পূর্ব যাদবপুর থানায় যোগাযোগ করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে আনিসুর ও তাঁর দুই সঙ্গী, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী এবং জামিল আখতারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদেই কিডনি পাচার চক্রের কথা উঠে আসে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, প্রতিস্থাপনের জন্য কিডনি পেতে অন্তত ছ’মাস সময় লাগে। সেই কাজ দ্রুত সেরে ফেলার টোপ দিয়ে আনিসুরকে ফাঁদে ফেলেছিল অনিরুদ্ধ ও জামিল। অনিরুদ্ধর বাবার কিডনি বিক্রি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বৃহস্পতিবার রাতে অনিরুদ্ধর বাবা ওই হাসপাতালের ধারকাছেই ছিলেন। কিন্তু ছেলেকে ধরা পড়তে দেখে তিনি পালিয়ে যান।

শুক্রবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তিন জনকেই ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, জামিলই এই চক্রের চাঁই। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেই ধৃতদের জেরা করে আরও কয়েক জনের নাম উঠে এসেছে। পাওয়া গিয়েছে শহরে ছড়িয়ে থাকা কিডনি পাচারচক্র সম্পর্কে আরও কিছু তথ্যও। এক তদন্তকারী অফিসারের দাবি, শুধু কিডনি পাচারই নয়, ভুয়ো সরকারি নথি তৈরির ব্যাপারেও বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kidney smuggling arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE