পেটের রোগের প্রকোপ বাড়ছে পুর এলাকার, অথচ হেলদোল নেই রামপুরহাট পুরসভার। এমনই অভিযোগ তুলে এ বার সরব হল বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, অনেকেই রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি হলেও এখনও পর্যন্ত এলাকায় জীবানুনাশক প্রতিষেধক পাউডার বা ব্লিচিং ছড়ানোর উদ্যোগ নেয়নি। রামপুরহাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর সুদেব দাসের অভিযোগ, লাগাতার সাত দিন থেকে ওয়ার্ডের মালপাড়া, ক্লাবপাড়া, পালপাড়া, মণ্ডল পাড়া থেকে পেটের রোগে আক্রান্ত হয়ে এক একজন করে রোজ রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অথচ পুরসভা বা স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সুদেববাবুর দাবি, ‘‘পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য পুরসভা থেকে বেশি করে ঝাড়ুদার পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। অথচ মাত্র দু’জন ঝাড়ুদার পাঠানো হয়েছে।’’
আক্রান্ত রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অমিত দাস বলেন, ‘‘পেট খারাপের সঙ্গে বমি হয়। পেটখারাপ ও বমি বাড়তে থাকায় শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হই।’’
এলাকায় আক্রান্ত পরিবার ছায়া মাল, শিশির মালদের অভিযোগ, ‘‘এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের অস্থায়ী কর্মীরা ঘুরে গিয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা জল বিশুদ্ধ করার জন্য হ্যালোজেন বড়ি এখনও যোগান দেয়নি।’’ রামপুরহাট হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত রামপুরহাট হাসপাতালে দশজনের বেশি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীফলা এলাকা থেকে পেটের রোগ নিয়ে ভর্তি হয়। এখনও পাঁচ জন ভর্তি আছে।
পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সুষেণ মণ্ডল বলেন, ‘‘এলাকায় ব্লিচিং দেওয়া হয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা ঘুরছেন। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ট্যাবলেট দিয়েছেন। এলাকার জঞ্জাল সাফাই এর জন্য অতিরিক্ত লেবার ও ট্রাক্টর পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।’’ উপ-পুরপ্রধান সুকান্ত সরকার বলেন, ‘‘পুরসভা এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে কোনও কিছু হয়নি বলে প্রাথমিক ভাবে আমার ধারণা। তবে এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। কি কারণে পেটের রোগ দেখা দিয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি। জল পরীক্ষা করার জন্য বলা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy