Advertisement
১৬ মে ২০২৪

বৈঠকে জোর মশা নিধনে

শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি পরিস্থিতির মধ্যে শহরে মশার উপদ্রব বাড়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার শিলিগুড়ি পুরসভায় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পুর-কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে ওয়ার্ডগুলিতে মশা মারার কাজে জোর দিতে বলেন। পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, মশা মারতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চান জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। স্প্রে করা এবং ধোঁয়া ছড়ানোর উপর জোর দিতে বলেন। পুরসভার ৪-৯, ৩১, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৪২
Share: Save:

শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি পরিস্থিতির মধ্যে শহরে মশার উপদ্রব বাড়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার শিলিগুড়ি পুরসভায় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পুর-কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে ওয়ার্ডগুলিতে মশা মারার কাজে জোর দিতে বলেন।

পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, মশা মারতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চান জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। স্প্রে করা এবং ধোঁয়া ছড়ানোর উপর জোর দিতে বলেন। পুরসভার ৪-৯, ৩১, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি এবং এনসেফ্যালিইটিস সংক্রমণ নিয়ে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জয় খাতি নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছেন এক গৃহবধূ। ওই ওয়ার্ডগুলি ছাড়াও ২৮, ২৫ নম্বর ওয়াডের্র্ ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে অনেকে অসুস্থ রয়েছেন। ওই সমস্ত এলাকায় মশা মারার কাজে জোর দিতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর।

পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, মশা মারতে স্প্রে বা ধোঁয়া ছড়ানোর কাজে বরোগুলিতে ১০টি করে দল তৈরি করা হয়েছে। ৫ টি বরোতে ৫০ টি দল রয়েছে। প্রতিদিন তারা সংশ্লিষ্ট বরোর ওয়ার্ডগুলিতে স্প্রে করছেন। তার মধ্যে যে সমস্ত ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেখানে বেশি সংখ্যক দল পাঠিয়ে স্প্রে করানো হচ্ছে। পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, “মশা মারতে স্প্রে করা এবং ধোঁয়া ছড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কোন এলাকাগুলিতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি তার তথ্য দিয়ে স্বাস্থ্য দফতর সাহায্য করছে। সেই মতো ৫, ৭ নম্বরের মতো ওয়ার্ডগুলিতে বেশি সংখ্যক দল পাঠানো হচ্ছে।” তবে নার্সিংহোমগুলি থেকে আক্রান্তদের বিষয়ে কোনও তথা পুরসভার কাছে সরাসরি আসছে না বলে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রতি সপ্তাহের রিপোর্ট পাঠানো হয় পুরসভায়। দ্রুত তথ্য না পেলে ওই সমস্ত এলাকায় ব্যবস্থা নিতে দেরি হয়।

এই পরিস্থিতিতেও শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ। গত কয়েক দিন ধরেই জ্বর নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে গেলে সাধারণ বিভাগে বা মেডিসিন বিভাগে অন্য রোগীদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ দিনও ফিভার ক্লিনিক বন্ধ ছিল। চিকিত্‌সক অবশ্য জানান, তাঁকে ওয়ার্ডে রোগী দেখার কাজে যেতে হয়েছিল। হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল অবশ্য দাবি করেন, “জ্বরে আক্রান্ত হয়ে খুব বেশি রোগী হাসপাতালে আসছেন না। তাই সাধারণ বিভাগ এবং মেডিসিন বিভাগেই তাঁদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” হাসপাতালে এ দিন সকালে ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ৩ জন ভর্তি ছিলেন। পরে এক জনকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। অপর এক জনকে ছুটি দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

dengue siliguri mosquito
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE