Advertisement
২১ মে ২০২৪

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর নালিশ, বিক্ষোভ

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল ডেবরার এক নার্সিংহোমে। প্রসূতির মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পরিজন ও এলাকাবাসী। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। শুক্রবার দুপুরে ডেবরা থানার বালিচকের হরিহরপুরের ওই নার্সিংহোমে পুত্রসন্তান প্রসব করেন টুম্পা দত্ত (২০)।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৪ ০১:৫৮
Share: Save:

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল ডেবরার এক নার্সিংহোমে। প্রসূতির মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন পরিজন ও এলাকাবাসী। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।

শুক্রবার দুপুরে ডেবরা থানার বালিচকের হরিহরপুরের ওই নার্সিংহোমে পুত্রসন্তান প্রসব করেন টুম্পা দত্ত (২০)। তাঁর বাড়ি পিংলায়। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে ওই প্রসূতির অবস্থার অবনতি হয়। শুক্রবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই টুম্পার পরিবারের লোকজন তেতে ওঠেন। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। শনিবার ময়নাতদন্তের পরে ওই প্রসূতির মৃতদেহ নিয়ে নার্সিংহোমের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। রাত তিনটে পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। টানা চার ঘন্টা বিক্ষোভ চলার পরে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে মৃতদেহ নিয়ে চলে যান টুম্পার পরিজনেরা।

টুম্পার স্বামী কান্তিগোপাল দত্ত রবিবার অভিযোগ করেন, “আমার স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ার পরেও সিজার করার জন্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ফেলে রেখেছিলেন। টুম্পাকে প্রায় মেরে ফেলার পরে দায় এড়াতে আমাদের রক্ত আনতে পাঠিয়ে মেদিনীপুরে রেফার করে দেয়।” এ সব অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন নার্সিংহোমের মালিক বাদল মাইতি। তাঁর দাবি, “সঠিক পদ্ধতিতেই অস্ত্রোপচার হয়েছে। পুত্রসন্তানও সুস্থ রয়েছে। অবস্থার অবনতি হয়েছে দেখেই ওই প্রসূতিকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের পরামর্শে পিংলার ওই প্রসূতিকে নার্সিংহোমে ভর্তি করান তাঁর পরিজনেরা। শুক্রবার দুপুরে টুম্পাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত অপারেশন টেবিলে থাকা টুম্পার অবস্থা ভাল নয় বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। প্রয়োজন হয় রক্তের। রক্ত আনতে পরিবারের লোকেরা নার্সিংহোম ছাড়লে টুম্পাকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যালে রক্ত দেওয়া শুরু হলেও টুম্পাকে বাঁচানো যায়নি। এর পরেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ভুল চিকিৎসা করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন। শনিবার রাতে বন্ধ নার্সিংহোমের সামনেই গ্রামবাসীদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ডেবরা ও পিংলা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

maternal death kharagpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE