গত বছর শিলিগুড়িতে ডেঙ্গির প্রকোপের পর এ বছরও ফের ওই রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন শহরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সন্তোষীনগর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক ব্যক্তির বড়ির পাশেপাশের এলাকা সাফসুতরো করার কাজ শুরু হয়।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ওই ওয়ার্ডে যে ব্যক্তি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন তাঁর নাম মহম্মদ আমানত। এলাকারই একটি নার্সিংহোমে তিনি ভর্তি ছিলেন। দিন কয়েক চিকিৎসার পর ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তি সোমবার নার্সিংহোম থেকে ছুটি পেয়ে বাড়িতে যান। কিছু দিন আগে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহারাজ কলোনি এলাকার বাসিন্দা রাজেন প্রসাদ নামে আরও একজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। খালপাড়ার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসার পর সুস্থ হলে তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। গত মাসেও শহরের দুটি নার্সিংহোমে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ২ জন ভর্তি হন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে। তাদের একজন সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসার পর সুস্থ হন। অপর জনের চিকিৎসাকরানো হয়েছিল শিলিগুড়ি হাসপাতালে।
শহরের একাদিক এলাকায় যেখানে ডেঙ্গিতে বাসিন্দারা আক্রান্ত হচ্ছে সেখানে ওই রোগ প্রতিরোধে প্রচার, মশা মারতে স্প্রে করার কাজ শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যথাযথ ভাবে করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তার উপর ১৮ অগস্ট পুরবোর্ডে প্রশাসক বসা কাউন্সিলররা আর পদে নেই। সে কারণে ওয়ার্ডগুলিতে নজরদারির কাজও কিছুটা ঢিলেঢালা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ।
পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, “ডেঙ্গি আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে নার্সিংহোমে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। আপাতত তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর বাড়ির আশেপাশের এলাকা সাফ করা হয়েছে।”
গত বছর ডেঙ্গিতে শিলিগুড়ি শহরে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়। আক্রান্ত হন আরও অনেকে। ওই বছরও ডেঙ্গি প্রতিরোধে কাজ ঠিক মতো হয়নি বলে স্বাস্থ্য দফতর এবং পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অমরনাথ সিংহ জানান, এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তির ডেঙ্গি হয়েছে বলে জানি। সোমবার তিনি নার্সিংহোম থেকে বাড়িতে ফিরেছেন। তবে এলসাকায় মশা মারতে কোনও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন অমরনাথবাবু। ব্লিচিং ছড়ানোর কাজও নামমাত্র হচ্ছে বলে তঁর দাবি। একই অভিযোগ পাশের চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা কংগ্রেস নেতা কাজল চন্দের। তিনি বলেন, “কাউন্সিলররা পদে নেই এই পরিস্থিতি প্রশাসক বোর্ডের উচিত ডেঙ্গি, এনসেফ্যালাইটিসের মতো রোগ প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy