Advertisement
১১ মে ২০২৪

শিশুমৃত্যু, ফের গাফিলতির নালিশ বালুরঘাট হাসপাতালে

স্যালাইনের চ্যানেল কাটতে গিয়ে এক সদ্যোজাত শিশুর হাতের আঙুল কেটে ফেলেছিলেন কর্তব্যরত নার্স। মাসদু’য়েক আগে বালুরঘাট হাসপাতালের সেই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়েছিল। সেই হাসপাতালেই আবার চিকিৎসার গাফিলতিতে এক সদ্যোজাতের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল।

মৃত শিশুর শোকার্ত মা।

মৃত শিশুর শোকার্ত মা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৫ ০১:৫৫
Share: Save:

স্যালাইনের চ্যানেল কাটতে গিয়ে এক সদ্যোজাত শিশুর হাতের আঙুল কেটে ফেলেছিলেন কর্তব্যরত নার্স। মাসদু’য়েক আগে বালুরঘাট হাসপাতালের সেই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়েছিল। সেই হাসপাতালেই আবার চিকিৎসার গাফিলতিতে এক সদ্যোজাতের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। জানা গিয়েছে বুধবার গভীর রাতে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়।

শুক্রবার সকালে হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাসের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মৃত শিশুর বাবা রঞ্জিত বর্মন। তিনি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে তাঁর শাস্তি দাবি করেন। রঞ্জিতবাবুর অভিযোগ, ‘‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আমার অসুস্থ সন্তানের কোনও চিকিৎসাই হয়নি। রাতে তার মৃত্যু হয়। সন্ধে সাতটা নাগাদ ডাক্তারবাবুর কাছে ওর চিকিৎতসার বিষয়ে জানতে গিয়েছিলাম। তিনি দুর্ব্যবহার করে আমাদের তাড়িয়ে দেন।’’ এব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নালিশ জানিয়েছেন তিনি।

তপন থানার এরেন্দা এলাকার বাসিন্দা পঞ্চমীদেবী ১২ দিনের শিশুপুত্রকে নিয়ে বুধবার রাত তিনটে নাগাদ বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর অভিযোগ, রাতে ভর্তি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সারাদিন কোনও ডাক্তারবাবু ছেলেকে দেখতে আসেননি। বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার তপনবাবু জানান, ওই শিশুর আত্মীয়দের সঙ্গে ডাক্তারবাবু খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। গাফিলতির অভিযোগও তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE