Advertisement
E-Paper

সিউড়িতে চালু হল প্রিপেড অ্যাম্বুল্যান্স

পরিষেবা উন্নত করতে আরও এক ধাপ এগোল সিউড়ি সদর হাসপাতাল। দালাল চক্র রুখতে এবং সঠিক ও ন্যায্য মূল্যে রোগীরা যাতে পরিষেবা পান সেই উদ্দেশ্যে প্রিপেড অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হল সিউড়ি জেলা হাসপাতালে। ঠিক হয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সা প্রতি কিলোমিটার দরে ওই হাসপাতাল থেকে রোগীদের অন্য সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাবে তালিকাভুক্ত ৩২টি অ্যাম্বুল্যান্স।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:২৮
নতুন অ্যাম্বুল্যান্স। —নিজস্ব চিত্র

নতুন অ্যাম্বুল্যান্স। —নিজস্ব চিত্র

পরিষেবা উন্নত করতে আরও এক ধাপ এগোল সিউড়ি সদর হাসপাতাল। দালাল চক্র রুখতে এবং সঠিক ও ন্যায্য মূল্যে রোগীরা যাতে পরিষেবা পান সেই উদ্দেশ্যে প্রিপেড অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হল সিউড়ি জেলা হাসপাতালে।

ঠিক হয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সা প্রতি কিলোমিটার দরে ওই হাসপাতাল থেকে রোগীদের অন্য সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাবে তালিকাভুক্ত ৩২টি অ্যাম্বুল্যান্স। বুধবার একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উক্ত পরিষেবার উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, মহকুমাশাসক (সিউড়ি সদরা) অরুন্ধতী ভৌমিক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কর্তিক মণ্ডল, সিউড়ি হাসপাতাল সুপার শোভন দে প্রমুখ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে ১৯টি নিশ্চয় যান মিলিয়ে মোট ৪২টি বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। এ দিন প্রিপেড পরিষেবায় চুক্তিভুক্ত হয়েছে ৯টি নিশ্চয় যান-সহ মোট ৩২টি অ্যাম্বুল্যান্স। হাসপাতালের রোগী সহায়তা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে অ্যাম্বুল্যান্সগুলি পর্যায়ক্রমে যাতায়াত করবে এবং ওই হাসপাতালের চিকিৎসকের নির্দেশক্রমে রোগীকে যে সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে প্রতি কিমি বেঁধে দেওয়া দরে সেখানে নিয়ে যেতে বাধ্য থাকাবেন অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরা। আশিসবাবু বলেন, “যে অ্যাম্বুল্যান্সগুলি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সেগুলির পরিকাঠামো ঠিকমতো (অক্সিজেন সিলিন্ডার ইত্যাদি) রয়েছে কি না সেটা দেখা হবে। তার পশাপাশি মাঝপথে রোগী ও তাঁর পরিজনের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যের বেশি নেওয়া হচ্ছে কি না সেটাও দেখতে হবে।” মন্ত্রী আরও বলেন, “রোগীদের বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দালালচক্র যে ভাবে সক্রিয় থাকে, সেটা আটকাতে হবে।” রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “এই পরিষেবা চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষের হয়রানি কমবে আশা রাখি।” জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী জানান, রামপুরহাটে পরীক্ষামূলক ভাবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভাল সাড়া মিলেছে। তাই সিউড়িতেও একই উদ্যোগ নেওয়া হল।

কী বলছেন চুক্তিবদ্ধ অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরা, যাঁরা কিছু দিন আগেও প্রতি কিমি ১২ টাকা বেঁধে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন? এ দিন অবশ্য অ্যাম্বুল্যান্স চালক অসীম ঘোষ, রমেশ ঘোষেরা বলছেন, “চুক্তি অনুযায়ী রোগী সহায়তা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে রোগী বহন করলে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হবে না।”

তবে কিছু অ্যাম্বুল্যান্স চালক অবশ্য দালালচক্র ও রোগীর আত্মীয়ের কাছে টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, রোগীকে বর্ধমান রেফার করলে ঠিক আছে। কিন্তু সেখান থেকে কলকাতায় রেফার করা হলে প্রায়ই এসএসকেএম বা কলকাতার অন্য সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা সম্ভব হয় না। তখন রোগীরাই নার্সিহোমে নিয়ে যেতে বলেন। তবে নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের কমিশন যে থাকে, সেটা অস্বীকার করেননি নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক।

prepaid ambulance service suri district hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy