Advertisement
E-Paper

স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আরও সাতটি গ্রামীণ হাসপাতাল

এতদিন জেলা হাসপাতাল এবং মহকুমা হাসপাতাল থেকেই স্বাস্থ্য বিমা যোজনার সুবিধা মিলত। এ বার জেলার আরও ৭টি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ১টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকেও মিলবে এই সুবিধা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চলতি মাস থেকে ওই গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই যোজনার অধীন রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ইমপ্লিমেন্টিং অফিসার তথা জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারঙ্গি বলেন, “এতে প্রত্যন্ত এলাকার রোগীদের যেমন সুবিধে হবে, তেমন সংশ্লিষ্ট গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রও উপকৃত হবে। কারণ, এজেন্সির কাছ থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে, তা দিয়ে হাসপাতাল-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা যেতে পারে। ওই অর্থ রোগী কল্যাণ সমিতির অ্যাকাউন্টেই জমা পড়বে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৪ ০২:১০

এতদিন জেলা হাসপাতাল এবং মহকুমা হাসপাতাল থেকেই স্বাস্থ্য বিমা যোজনার সুবিধা মিলত। এ বার জেলার আরও ৭টি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ১টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকেও মিলবে এই সুবিধা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চলতি মাস থেকে ওই গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই যোজনার অধীন রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ইমপ্লিমেন্টিং অফিসার তথা জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারঙ্গি বলেন, “এতে প্রত্যন্ত এলাকার রোগীদের যেমন সুবিধে হবে, তেমন সংশ্লিষ্ট গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রও উপকৃত হবে। কারণ, এজেন্সির কাছ থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে, তা দিয়ে হাসপাতাল-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা যেতে পারে। ওই অর্থ রোগী কল্যাণ সমিতির অ্যাকাউন্টেই জমা পড়বে।”

নতুন যে ৭টি গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিমা যোজনার সুবিধা মিলবে সেগুলি হল, সবং গ্রামীণ হাসপাতাল, বেলদা গ্রামীণ হাসপাতাল, চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল, গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতাল, কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল, খড়িকামাথানি গ্রামীণ হাসপাতাল (নয়াগ্রাম), বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল। বাগদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র (মোহনপুর) থেকেও স্বাস্থ্য বিমা যোজনার সুবিধে মিলবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আগে থেকেই এই সমস্ত গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ শুরু হয়। কারণ, উপভোক্তারা চাইছিলেন, ব্লক স্তরেও যেন প্রকল্পের সুফল মেলে। সেই মতো রাজ্যের মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাব মঞ্জুরও হয়। প্রকল্প চালু করার আগে সংশ্লিষ্ট গ্রামীণ হাসপাতাল-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মীকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৪টি সরকারি হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য বিমা যোজনার সুবিধা মিলত। সেগুলি হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল। পরে বেশ কয়েকটি বেসরকারি নার্সিং হোম-হাসপাতালকেও প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। এখন সব মিলিয়ে ২৬টি বেসরকারি নার্সিং হোম-হাসপাতাল প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। অন্য দিকে, নতুন করে আরও ৭টি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ১টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় আসায় এখন থেকে সব মিলিয়ে ১২টি সরকারি হাসপাতাল-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্য বিমা যোজনার সুবিধে মিলবে।

দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষই রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার সুবিধা পেতে পারেন। তবে, এর জন্য আগে তাঁদের কার্ড করতে হবে। একটি পরিবারে একটিই কার্ড হয়। এতে পরিবারের ৫ জন সদস্য বিমার আওতায় চলে আসেন। বছরে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় মেলে। গোটা রাজ্যে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার আওতায় এসেছে ৩ কোটি ৬৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭৭৪টি পরিবার (গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত)। প্রকল্পের সুফল পেয়েছেন ৬৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৮৩ জন। পশ্চিম মেদিনীপুরের ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ১০১টি পরিবার প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। বেসরকারি নার্সিং হোম-হাসপাতালগুলোর পরিষেবা নিয়ে মাঝেমধ্যে কিছু অভিযোগও ওঠে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়।

আগামী দিনে ওই সব গ্রামীণ হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি করে কেবিন তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। পাশাপাশি, রোগী সহায়তা কেন্দ্রও খোলা হবে। সুস্থ হয়ে ছাড়া পাওয়ার সময় প্রকল্পের অধীন রোগীরা বেসরকারি নার্সিং হোম-হাসপাতাল থেকে ১০০ টাকা করে পেতেন। রোগী যাতে সুষ্ঠু ভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই জন্যই এজেন্সিই এই টাকা দিত। সেখানে সরকারি হাসপাতাল-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে রোগীরা ৩০০টাকা করে পাবেন। ১০০টাকা দেবে এজেন্সিই। বাকি ২০০ টাকা দেবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতি।

চোখের জটিল অস্ত্রোপচার

ফের এক কিশোরের চোখে জটিল অস্ত্রোপচার করে বাঁশের কঞ্চি বার করা হল পুরুলিয়ার সদর হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বাঁ চোখের ঠিক নীচে কঞ্চি বেঁধা অবস্থায় সাঁওতালডিহির ধাদকিডি গ্রামের বাসিন্দা, বছর আটেকের জগন্নাথ রাজোয়াড়কে সোমবার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় পাহাড়িগোড়ার একটি আবাসিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র জগন্নাথের মা পাবর্তীদেবী বলেন, “রবিবার ছাত্রাবাসে বন্ধুর সঙ্গে খেলার সময় কোনও ভাবে ওর চোখের নীচে কঞ্চি ঢুকে যায়। প্রচণ্ড যন্ত্রণা। চোখে অন্ধকার লাগছে বলছিল।” সদর হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক দেবাশিস প্রামাণিক বলেন, “অস্ত্রোপচারের পরে দেখা গেল, কঞ্চিটা প্রায় ৮ সেন্টিমিটার ভিতরে ঢুকে গিয়ে কোনও ভাবে ভেঙে যায়। অক্ষিগোলকের বাইরের পাতলা আস্তরণ (কনজাংটিভা) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল। দ্রুত অস্ত্রোপচার না করলে পুরো চোখই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে।”

বিষাক্ত মাশরুম

বিষাক্ত মাশরুম খেয়ে উজানি অসমে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত ৫ এপ্রিল। ওই দিন তিনসুকিয়া জেলার মার্গারিটার নামডাং চা বাগান, ডুমডুমার বিসাকুচি চা বাগান ও ডিগবয়ের রামনগর এলাকার কয়েকটি পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য স্থানীয় ভাবে সংগ্রহ করা মাশরুম খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনটি এলাকা থেকে মোট ২১ জনকে ডিব্রুগড়ের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে গত কাল রাত অবধি দুই শিশু-সহ আট জন মারা গিয়েছেন।

health insurance gramin hospital medinipur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy