বর্ষা আর আগের মতো নেই। ঠিক ছোটবেলায় যেমনটা ভুগোলের পাতা লেখা ছিল। সেই লেখা মিথ্যে হয়ে গিয়েছে। বাংলায় এখন আর জুন মাসে বর্ষা আসে না। এখন বর্ষা আসে তার নিজ ভঙ্গিতে, নিজ ইচ্ছায়। তবুও গ্রীষ্মের প্ৰখর দাবদাহ থেকে বাঁচতে বর্ষার অপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ। নতুন ফসল বোনার পরে জলের অপেক্ষা করে চাষীরা। গ্রীষ্ম শেষে বর্ষায় প্রাণ পায় শহর। বর্ষার ঘনঘটার তীব্র আনন্দে বাঙালির মন নেচে ওঠে আপন ছন্দে।
এই বর্ষার সঙ্গেই ওতঃপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে বর্ষার গান, বৃষ্টির গান। সেই কোনও কালে তানসেনের মল্লার রাগে নেমে আসতো বারিধারা। আজও যেন বৃষ্টির রিমঝিম শব্দের সঙ্গে মিশে যায় সুরের ছন্দ। সন্ধ্যের কালো মেঘপুঞ্জ দেখে ঠোঁট গুনগুনিয়ে ওঠে, 'নীল অঞ্জন ঘন পুঞ্জ ছায়ায় সম্বৃত অম্বর'। হেডফোনে চলে বৃষ্টির গান। বৃষ্টির সঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীতের বন্ধন যেমন চিরকালীন তেমনই বহু সময়ে বহু ভাষায় বহু গান হয়েছে বৃষ্টি নিয়ে।