Advertisement
০৭ মে ২০২৪

চার বাংলাদেশির কাছে দু’লক্ষ ডলার

চার বাংলাদেশি যুবকের কাছ থেকে নগদ দু’লক্ষ ডলার আটক করল বিএসএফ। ভারতীয় মুদ্রায় যার আর্থিক মূল্য ১ কোটি ৩২ লক্ষ টাকারও বেশি। বিএসএফ জানিয়েছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ অর্থ।

অভিযুক্ত: এদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে দু’লক্ষ ডলার। নিজস্ব চিত্র

অভিযুক্ত: এদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে দু’লক্ষ ডলার। নিজস্ব চিত্র

বাপি রায়চৌধুরী
আগরতলা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৭ ১৩:০০
Share: Save:

চার বাংলাদেশি যুবকের কাছ থেকে নগদ দু’লক্ষ ডলার আটক করল বিএসএফ। ভারতীয় মুদ্রায় যার আর্থিক মূল্য ১ কোটি ৩২ লক্ষ টাকারও বেশি। বিএসএফ জানিয়েছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ অর্থ। গত কাল ত্রিপুরার সোনামুড়া এলাকার শ্রীমন্তপুর চেকপোস্ট দিয়ে চার বাংলাদেশি যুবক তাদের বৈধ পাসপোর্ট নিয়েই ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছিল। কিন্তু গোয়েন্দাদের আগাম খবরের ভিত্তিতে ত্রিপুরার সমস্ত সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজরদারি ছিল। শেষ মুহূর্তে এই চার যুবককে আটক করে তল্লাশি চালাতেই ডলার বেরিয়ে পড়ে। পরে বিএসএফ তাদের ত্রিপুরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে সোনামুড়ার এসডিপিও বাবুল দাস জানান।

গোয়েন্দা সূত্রের মতে, সহজে ডলার পাচারের জন্য ‘দুর্বল’ হিসেবে চিহ্নিত শ্রীমন্তপুর চেকপোস্টকেই বেছে নিয়েছিল ওই চার যুবক। কিন্তু এই পাচারের সম্পর্কে আগাম সতর্কতা থাকায় তা সম্ভব হয়নি। গোয়েন্দা-রিপোর্ট এবং আটক যুবকদের জেরা করে জানা গিয়েছে, এই ডলার বাংলাদেশি জেহাদিদের হাতে পৌঁছনোর কথা ছিল। পশ্চিম এশিয়া থেকে আসা ডলার পাচারের জন্য ‘ট্র্যানজিট পয়েন্ট’ হিসেবে কলকাতাকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। আরবের বিভিন্ন দেশ থেকে হাওয়ালা-সহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা কলকাতায় এসে পৌঁছয়। সেই টাকা কখনও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন চেকপোস্ট কখনও বা মেঘালয়, কখনও বা ত্রিপুরার চেকপোস্ট হয়ে ক্যারিয়াররা এই অর্থ বাংলাদেশে পৌঁছে দেয়।

গোয়েন্দা ও কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, এই ডলার কলকাতার বৌবাজার এলাকার ভূতনাথ বলে এক জনের কাছ থেকে ধৃতেরা নিয়েছিল। সেই ‘ভূতনাথ’-এর খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে তার বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য জানায়নি প্রশাসন। এক গোয়েন্দাকর্তার মতে, এমন কোনও বিদেশি মুদ্রা লেনদেনকারীর নাম জানা নেই পুলিশের। ‘‘ভূতনাথ হয়তো ভুয়ো নাম। ফলে ঠিক কোন জায়গা থেকে কী ভাবে ডলার নিয়েছিল তা বিশদে জানতে হবে,’’ মন্তব্য ওই গোয়েন্দাকর্তার।

বিএসএফ সূত্রের খবর, ধৃত যুবকদের নাম মহম্মদ আলি, পরিমল সাহা, আবুল কালাম ও সাজিবর রহমান। তারা কুমিল্লার বাসিন্দা। বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং ভারতীয় ভিসা ছিল তাদের। তাদের কাছ থেকে ভারতের কয়েকটি সিম কার্ড এবং মালয়েশিয়ান বিমানের বোর্ডিং কার্ডও পাওয়া গিয়েছে। বিএসএফ, ত্রিপুরা পুলিশ ও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দাদের জেরায় ওই চার যুবক জানিয়েছে, এই অর্থ তাদের নয়। তারা বাহক মাত্র। ভূতনাথের কাছ থেকে নেওয়া ডলার বাংলাদেশের মতিঝিল এলাকার লিওন সানি মানি এক্সচেঞ্জের মালিক নিজামুদ্দিনের কাছে তাদের পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। তারা জানিয়েছে, মাসিক বেতন পায় তারা। তবে সেই বেতন কলকাতার ভূতনাথ দিত, না নিজামুদ্দিন তা স্পষ্ট নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladeshi Agartala Dollar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE