এয়ারসেল-ম্যাক্সিস কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার রাজেশ্বর সিংহকে ঘিরে নতুন মাত্রা পেল ইডি-র সঙ্গে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা র-এর বিবাদ।
দানিশ শাহ নামে দুবাইয়ের এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন রাজেশ্বর। দানিশ দুবাইয়ে নিজেকে র-এর (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং) লোক বলে পরিচয় দিলেও আসলে তিনি আইএসআই-এর এজেন্ট বলে গোয়েন্দাদের সন্দেহ। সরকারি সূত্রের দাবি, ইডি-র অধিকর্তা কার্নাল সিংহ গত বছরের শেষেই র-এর প্রধান অনিলকুমার ধামসানাকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, রাজেশ্বরের বিরুদ্ধে যে গোয়েন্দা-তথ্য দেওয়া হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইডি প্রধানের যুক্তি ছিল, দানিশ একটি তদন্তের বিষয়ে খবর দিতে রাজেশ্বরকে ফোন করেছিলেন। রাজেশ্বর নিজেই তা কার্নালকে জানান।
শেষ পর্যন্ত ওই কথোপকথন নিয়ে র-এর তথ্যের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়েছে সরকার। তার ফলে রাজেশ্বরের বিরুদ্ধে তদন্তের ছাড়পত্র দিয়েছে বলে শীর্ষ আদালত। যাতে আখেরে পি চিদম্বরমের সুবিধা হয়েছে বলে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দাবি। তাঁর অভিযোগ, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীই রাজেশ্বরকে বিপাকে ফেলে এয়ারসেল-ম্যাক্সিস তদন্ত আটকাতে চাইছেন। কারণ ওই দুর্নীতিতে চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে জড়িত।
প্রশ্ন উঠেছে, র-এর রিপোর্ট নিয়ে ইডি-র শীর্ষ স্তর থেকে প্রশ্ন ওঠার পরেও তা সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ল কেন?
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আজ বলেন, গোটা বিষয়টি জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে গোপন চিঠি লিখেছেন। সেখানে অর্থ মন্ত্রকের এক অফিসারকে বরখাস্তের আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, র-তে চিদম্বরমের লোকই এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। তার পরে মহারাষ্ট্র পুলিশের উপরে চাপ তৈরি করা হয়, যাতে দাউদ ইব্রাহিমের এক ঘনিষ্ঠের জবানবন্দিতে রাজেশ্বরের নাম থাকে। এর মধ্যে সিবিআইয়ের সদর দফতরের এক অফিসারও যুক্ত বলে স্বামীর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy