সাংবাদিক সম্মেলনে মায়াবতী ও অখিলেশ যাদব। লখনউয়ে। ছবি- পিটিআই।
মোট ছিয়াত্তরটি আসন নিজেদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে উত্তরপ্রদেশে জোট গড়েছেন অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী। এমন ভাগাভাগিতে সাহায্য করার জন্য ‘বুয়া’ মায়াবতীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন এসপি নেতা অখিলেশ। কিন্তু তার পরেও জোটের পথ কণ্টকময় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। দলভিত্তিক আসন বাছাইয়ের কাজ যতটা কঠিন, তেমনই প্রার্থী বাছাই নিয়েও সমস্যা কম নয় বলেই মনে করা হচ্ছে
এসপি সূত্রের খবর, আরও অন্তত দু’সপ্তাহ লাগবে পুরো বিষয়টি চূড়ান্ত করতে। ফেব্রুয়ারির গোড়া থেকে প্রার্থীরা নির্দিষ্ট এলাকায় প্রচারের কাজ পুরোদমে শুরু করে দিতে পারবেন বলে আশাবাদী জোট শিবির। এরই মধ্যে অখিলেশ-মায়াকে স্বস্তি দিয়ে উত্তরপ্রদেশের ভীম সেনার নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ জানিয়েছেন, বিজেপি-কে রাজ্য থেকে হঠাতে তাঁরা পুরোদমে সমর্থন করবেন এই জোটকে। বেশ কিছু দিন ধরেই ভীম সেনার নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ ওরফে রাবণ মায়ার গলার কাঁটা হয়ে উঠছিলেন। গত বছরের শেষে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দলিত সমাজে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টাও শুরু করেছিলেন তিনি। আজ সেই চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘জোটের প্রতি (এসপি-বিএসপি) আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। উনিশের লোকসভা ভোটে যাতে বিজেপি আসতে না পারে, তার জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করব। সময়ের দাবি মেনেই এই বিরোধী জোট তৈরি হয়েছে।’’
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে এসপি এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিএসপি— এই সমীকরণে প্রাথমিক ভাবে আসন ভাগাভাগির কাজ শুরু হয়েছে। কাজটি কঠিন, কারণ কে কোথায় দাঁড়ালে মসৃণ ভাবে এক দল অন্যকে নিজেদের ভোটটা তুলে দেবে, সেটা নির্ণয় করার দরকার আছে। প্রত্যেকটি আসনের জনজাতির চরিত্র এবং রাজনৈতিক প্রভাবের দিকটিরও চুলচেরা বিশ্লেষণ প্রয়োজন। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, বুলন্দশহর, মেরঠ, সহারানপুর, বিজনৌর, আলিগড়ের মতো আসনগুলিতে লড়বে মায়াবতীর দল। অন্য দিকে কনৌজ, মইনপুরী, লখনউ, ইলাহাবাদের আসনগুলি নিজেদের হাতে রাখবে এসপি।
প্রাথমিক যে সূত্রটির ভিত্তিতে এই আসন ভাগাভাগির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, তা হল, মায়াবতী সেই আসনগুলিই খুঁজছেন যেখানে দলিত-মুসলমানের ভিত্তি বেশি।
তা হলে যাদব ভোট এসপি-র
সাহায্যে নিজের প্রার্থীর বাক্সে টেনে আনতে বেশি খাটতে হবে না মায়াকে। অন্য দিকে এসপি চাইছে সেই সব আসন থেকে লড়তে, যেখানে যাদব-এবং মুসলমানরা প্রধান ভোটব্যাঙ্ক। সে সব আসনে মায়ার সাহায্যে কিছুটা দলিত সমর্থন পেয়ে গেলেই জয় মিলবে।
২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির মধ্যেও এসপি এবং বিএসপি— উভয়েরই প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল ২২ শতাংশ করে। উত্তরপ্রদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দু’দলের প্রাপ্ত শতাংশের যা যোগফল, তার থেকে বেশি ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী দু’দলের শীর্ষ নেতাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy