অলোক বর্মা পদ ফিরে পেতেই রাফাল-অস্ত্রে ফের নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধলেন রাহুল গাঁধী।
মধ্যরাতে অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর সময়েই কংগ্রেস বলেছিল, এটি নরেন্দ্র মোদী-অরুণ জেটলি-অজিত ডোভালের কম্মো। আজ বলল, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এদেরই মুখ পুড়ল। রাফালের অভিযোগের ভিত্তিতে বর্মা যাতে তদন্ত শুরু করতে না পারেন, সে কারণেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ শীর্ষ আদালতের রায়ের পর সে তদন্ত ফের শুরু হবে বলে আশা করছেন কংগ্রেস নেতারা। আর এই পরিস্থিতে রাহুলও আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে তুললেন।
রাহুলের সাফ কথা, ‘‘রাফাল তদন্ত শুরু করছিলেন বলেই রাত একটায় বর্মাকে সিবিআই প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কিছুটা সুবিচার মিলেছে। এ বারে দেখা যাক, কী হয়।’’ এর পর সরাসরি মোদীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘কোনও কিছুই প্রধানমন্ত্রীকে রাফাল থেকে বাঁচাতে পারবে না। রাফালের সত্য তাঁকে শেষ করবে। ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি করে বন্ধু অনিল অম্বানীকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে রাফালের প্রমাণ ‘ওপেন অ্যান্ড সাট কেস’। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’ পরে টুইট করেও সুপ্রিম কোর্টকে অভিনন্দন জানান কংগ্রেস সভাপতি।
সূত্রের খবর, বাজপেয়ী সরকারের দুই মন্ত্রী অরুণ শৌরি, যশবন্ত সিন্হার পাশাপাশি প্রশান্ত ভূষণের মতো আইনজীবী অলোক বর্মার কাছে গিয়ে রাফালের যাবতীয় ফাইল দিয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করার দাবিও জানান তাঁরা। যদিও বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর পরে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, এমন কোনও ফাইল সিবিআই ডিরেক্টরের টেবিলে ছিলই না। তিনি কোনও তদন্তের নির্দেশও দেননি। কিন্তু আজকের রায়ের পরে প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট অলোক বর্মাকে কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে নিষেধ করেছে। কিন্তু তাই বলে কোনও তদন্ত শুরু করতে বাধা নেই। রাফালের এফআইআর তিনি দায়ের করতেই পারেন।’’ এত দিন সিবিআই প্রধানের দায়িত্ব সামলানো নাগেশ্বর রাওকেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করেছিল শীর্ষ আদালত। তা সত্ত্বেও অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের নেতারা এই দৃষ্টান্তই দেখাচ্ছেন।
রাফাল নিয়ে বেগ বাড়ছে দেখে এখন অগুস্তা কপ্টার কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া ব্রিটিশ দালাল ক্রিশ্চিয়ান মিশেলের সঙ্গেও রাফাল-যোগ খুঁজে পাল্টা প্রচার করছে বিজেপি। মোদী সরকারের মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আজ বলেন, ‘‘ক্রিশ্চিয়ান মিশেল আসলে রাফালের বিরোধিতা করছিলেন। তিনি রাফালের বদলে ইউরো ফাইটার বিমান কেনাতে চাইছিলেন। সে কারণেই কী রাহুল গাঁধী রাফালের এত বিরোধী?’’ রাহুলের পাল্টা মন্তব্য, ‘‘জনতা মালিক। গোটা দেশ এখন ১০০ শতাংশ নিশ্চিত, নরেন্দ্র মোদী জনতার ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে অনিল অম্বানীকে দিয়েছেন। সে কারণে তিনি আমার প্রশ্নের জবাব দিতে মুখোমুখি হতে পারছেন না। লাগাতার পালাচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy