অরুণ জেটলি।
সমালোচনার মুখে ফের জওহরলাল নেহরুর জমানায় কী হত, সেই প্রশ্ন তুললেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রীরা। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কে এম জোসেফের সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগে আপত্তি তোলায় মোদী সরকারকে নিশানা করেছিল কংগ্রেস। অরুণ জেটলির পাল্টা প্রশ্ন, নেহরু জমানায় কী হত! কিডনি প্রতিস্থাপনের পর বাড়িতেই জেটলি। সেখান থেকেই ব্লগ লিখে জেটলির যুক্তি, নেহরুর আমলে বিচারবিভাগের সুপারিশ পাঠাতে হত। প্রধান বিচারপতিরাও চাপের কাছে মাথা নোয়াতেন। তাঁর যুক্তি, সরকার কলেজিয়ামকে নতুন তথ্য দিয়ে সুপারিশ পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব পাঠাতেই পারে। বর্তমান ব্যবস্থায় শেষে কলেজিয়ামের সুপারিশ মানতে হবে সরকারকে। কিন্তু তা সংবিধান বিরোধী বলেও জেটলির যুক্তি।
বিচারপতি জোসেফের নামও সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামকে পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে মোদী সরকার। বিচারপতি জোসেফ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন খারিজ করে দিয়েছিলেন বলেই তাঁকে নিয়ে আপত্তি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। জেটলির দাবি, নেহরু জমানায় প্রধান বিচারপতি হিদায়াতুল্লা বম্বে ও কেরল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের সুপারিশ করেছিলেন। সরকার তার জবাবও দেয়নি। প্রধান বিচারপতি তা নিয়ে প্রশ্নও তোলেননি। কেশবানন্দ ভারতীর মামলায় কংগ্রেস সরকার বিচারবিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা করেছিল। বিরুদ্ধ অবস্থান নেওয়ার জন্য তিন জন বিচারপতিকে টপকে প্রথমে এ এন রায়কে প্রধান বিাচরপতি করা হয়। জেটলির যুক্তি, নেহরু প্রথম প্রধান বিচারপতি এইচ জে কানিয়ার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। সর্দার বল্লভভাই পটেল পরিস্থিতি সামলান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy