প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপায়ীর ৯২তম জন্মদিবস উপলক্ষে আজ রাজ্যে ‘অটল অমৃত অভিযান’ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও অর্থতথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এই প্রকল্পের অধীনে, রাজ্য সরকার সরকারি কর্মী বাদে অন্য পরিবারের সব সদস্যের ছ’টি কঠিন ও খরচ সাপেক্ষ রোগের চিকিৎসার জন্য বছরে মাথাপিছু দু’লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা ঘোষণা করল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘‘হৃদরোগ, ক্যানসার, আগুনে পোড়া, কিডনির অসুখ, নবজাতকের চিকিৎসা ও কঠিন স্নায়ুরোগের চিকিৎসায় বছরে পরিবারের প্রত্যেকে ওই পরিমান টাকার সরকারি সাহায্য পাবেন।’’ তিনি আরও জানান, আগামী বছর এপ্রিল থেকে সরকারি কর্মীদের জন্যও নতুন স্বাস্থ্য প্রকল্প আনা হবে। শর্মা বলেন, “অসমের এই স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য প্রকল্প হতে চলেছে। কারণ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রকল্প ও অন্য যে কোনও রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রকল্পে চিকিৎসার খরচ বাবদ বিমা মেলে পরিবার হিসেবে। কিন্তু অসমে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের নামে থাকবে কার্ড।’’ তিনি জানান, কোনও পরিবারে পাঁচ সদস্যের তালিকাভুক্ত চিকিৎসার প্রয়োজনে তাঁরা বছরে মোট ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পাবেন। পাঁচ লক্ষের নীচে বার্ষিক আয় যাঁদের এমন সব পরিবার আগামী কাল থেকেই অনলাইনে আবেদন জানাতে পারবেন।
এই প্রকল্প বাবদ বছরে রাজ্য সরকারের বছরে খরচ হবে ২০০ কোটি টাকা। এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ দেওয়া হবে নগদে। খরচ হবে ৫০ কোটি টাকা। কিন্তু এপ্রিলের পর থেকে শুধুমাত্র অনলাইনে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হবে। সরকারি হাসপাতালগুলির পাশাপাশি নির্বাচিত কিছু বেসরকারি হাসপাতালেও এই সুবিধে মিলবে। এই প্রকল্প তদারকের জন্য তৈরি হচ্ছে স্বতন্ত্র একটি সোসাইটি। দারিদ্র্যসীমার ঊর্দ্ধে থাকা পরিবারগুলিকে বছরে ১০০ টাকা দিয়ে বিমা নবীকরণ করাতে হবে। দরিদ্র পরিবারকে কোনও টাকা দিতে হবে না। পরিবারের প্রত্যেকের নামে থাকবে ‘অটল অমৃত কার্ড’।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, “রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। দরিদ্রদের পক্ষে আধুনিক চিকিৎসার ভার বহন সম্ভব হয় না। তাই এই প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছে। রাজ্যের সব পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে এই প্রকল্পের বুকলেট। সব বিধায়ক নিজের নিজের এলাকায় বিলি করবেন এই প্রকল্পের ফর্ম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy