অনুরাগ ঠাকুর এবং প্রবেশ বর্মা। ফাইল চিত্র।
তিন দিন অনুরাগ ঠাকুর, চার দিন প্রবেশ বর্মা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, ওঁরা এই সময়টা প্রচার করতে পারবেন না দিল্লি ভোটে। উস্কানিমূলক মন্তব্যের ‘শাস্তি’।
কিন্তু বিজেপির তাতে কিসের পরোয়া? প্রবেশ বর্মা দিল্লির এক সাংসদ মাত্র। নিজে ভোটেও লড়ছেন না। অনুরাগ ঠাকুর অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তিন দিন এমনিতেই ব্যস্ত থাকবেন বাজেট নিয়ে। বিজেপি শিবিরই বলছে, এঁরা কেউই বিজেপির প্রথম সারির নেতা নন। এক জনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে পরের স্তরের নেতারা তৈরি। যেমন আজ তরুণ চুঘ শাহিন বাগকে ‘শয়তানি বাগ’ বলেছেন। তা ছাড়াও বিজেপির তাবড় নেতাদের ময়দানে নামা এখনও বাকি। বাজেট পেশের পর রবিবার থেকেই শুরু হচ্ছে সে পর্ব।
বিজেপি জানাচ্ছে, এমনিতেই রোজ হচ্ছে অমিত শাহের সভা। দু’ডজনের বেশি সভা তাঁর গত এক সপ্তাহে হয়ে গিয়েছে। আরও প্রায় দেড়শোর মতো নেতা ছড়িয়ে পড়েছেন দিল্লির আনাচে-কানাচে। গত আট দিনে ছোট থেকে মাঝারি মিলেয় আড়াই হাজারের মতো সভা হয়েছে। এখনও যোগী আদিত্যনাথের সভা বাকি। শাহিন বাগের আশপাশে সভা করবেন তিনি। পুরো দিল্লিতে গোটা দশেক। ‘হিন্দু সেনা’ নামে এক সংগঠনের নেতাও রবিবার যেতে চান শাহিন বাগে। আর খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজে তো এখনও ময়দানে নামেননি।
বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, বাজেটের পরে নীতীশ কুমারের সঙ্গে অমিত শাহ যৌথ সভা করবেন। সোম ও মঙ্গলবার মোদীর দুটি সভা স্থির হয়ে আছে। ৬ ফেব্রুয়ারি প্রচারের শেষ দিনের আগে হবে আরও কিছু সভা। কংগ্রেসের রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও এখনও প্রচারে নামেননি। সামনের সপ্তাহে তাঁদের দিয়ে প্রচার করানোর চেষ্টা করছেন কংগ্রেসের নেতারা। তবে কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘রাহুল দিল্লিতে প্রচারে উৎসাহী নন। বিশেষ করে বিজেপি যে ভাবে মেরুকরণের বীজ বুনে রেখেছে, তিনি প্রচারে নামলে বিজেপির লাভ।’’
অরবিন্দ কেজরীবাল, রাহুল গাঁধীকে নিশানায় রেখেই অমিত শাহ নিরন্তর আক্রমণ করছেন। গেরুয়া শিবিরের মতে, শাহিন বাগের পাশাপাশি এখন তো শরজিল ইমামও নতুন হাতিয়ার বিজেপির কাছে। অমিত শাহ আজও জনসভায় বলেছেন, ‘‘শরজিল ইমামকে আমরা জেলে পাঠিয়েছি। ৮ তারিখের আগে অরবিন্দ কেজরীবাল দিল্লির জনতাকে জানিয়ে দিন, শরজিলকেও কি বাঁচাবেন তিনি?’’
সভায় সভায় গিয়ে অমিত শাহ প্রশ্ন ছুঁড়ছেন জনতার দিকে: ‘‘শাহিন বাগ কোনও এলাকার নাম নয়। এক বিচারধারার নাম। এক দিকে মোদী, অন্য দিকে শাহিন বাগ। আপনারাই বলুন, এই কেজরীবাল, রাহুলবাবাদের ভোটব্যাঙ্ক কে?’’ জনতাও উত্তর দিচ্ছে: ‘‘শাহিন বাগ... শাহিন বাগ।’’ মুখে হাসি ফুটছে শাহের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy