লোকসভা ভোটের আগে মোদী-বিরোধী জোটের ভিত কতটা মজবুত, আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনেই তার এক প্রস্ত পরীক্ষা!
রাজ্যসভার যে ৫৯টি আসনে মার্চে ভোট, তাতে বিজেপি আরও সংখ্যা বাড়িয়ে নেবে। তবে তাতেও রাজ্যসভায় তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসবে না। বিরোধীরা একজোট হলে উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকের মতো রাজ্যে বিজেপি-র কয়েকটি বাড়তি আসন প্রাপ্তি রোখা যেতে পারে। সেই সূত্র ধরেই কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ, মায়াবতী, দেবগৌড়ার মতো দলগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। গুলাম নবি আজাদ কথা বলছেন এই দলগুলির সঙ্গে।
পশ্চিমবঙ্গে পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতেই অনায়াসে জিতে যাবে তৃণমূল। প্রকাশ কারাটের রাজনৈতিক অবস্থান মেনে বামেরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে না চাইলে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চম আসনে নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে আগ্রহী রাহুল গাঁধীর দল। তৃণমূল অবশ্য পাঁচটি আসনেই প্রার্থী দিতে চায়। যদি বাম-কংগ্রেস মিলে প্রার্থী দেয়, সে ক্ষেত্রেও তৃণমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথেই যেতে চায়।
তবে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তৃণমূল যাতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে নৈকট্য তৈরি করে ফেলতে না পারে, তার জন্য তৎপর হয়েছেন বাংলার কংগ্রেস এবং বাম নেতৃত্ব। সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে এআইসিসি-র। এমন কোনও ‘নিরপেক্ষ’ মুখের সন্ধান চলছে, যাঁকে সামনে রেখে বাম ও কংগ্রেস এক জায়গায় আসতে পারে। রাজ্যসভা নিয়ে আলোচনা করতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কাল, বুধবার বৈঠক ডেকেছেন দলের বিধায়কদের সঙ্গে।
কংগ্রেস চাইছে, যেখানে যেখানে সম্ভব রাজ্যসভার ভোটে এমন প্রার্থীকে বাছাই করা হোক, যাঁকে সব বিরোধীই সমর্থন দিতে পারবে। যেমন উত্তরপ্রদেশ। সেখানে ১০টির মধ্যে ৮টি আসন বিজেপি-র পাকা। একটি পাবে সমাজবাদী পার্টি। দশম আসনটির উপরেও বিজেপি-র নজর আছে। কিন্তু কংগ্রেস-সপা-বসপা এক হলে বিজেপি-কে রোখা সম্ভব।
মায়াবতী যখন রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করলেন, সেই সময় বিরোধী জোটের নেতারা সবাই মিলে তাঁকে ফের জিতিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এমনকী, লালুপ্রসাদ যাদবও প্রস্তাব দেন বিহার থেকে মায়াবতীকে রাজ্যসভায় পাঠানোর। রাজ্যসভার নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই লালু-পুত্র তেজস্বী ফোন করেছিলেন মায়াবতীকে। কিন্তু মায়া জানিয়ে দেন, বিজেপি ক্ষমতায় থাকতে তিনি রাজ্যসভায় যাবেন না!
বিরোধীদের একাংশ অবশ্য মায়ার এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিজেপি-রই হাত দেখছে। বিরোধী জোটে মায়া খোলাখুলি আসতে এখনও দ্বিধা করছেন। ভোটমুখী কর্নাটকেও বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়ে দেবগৌড়ার দলের সঙ্গে সমঝোতা করেছেন মায়া। দেবগৌড়ার সমর্থন পেলে কংগ্রেসের একটি আসন পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু একান্তই সমর্থন না পেলে আসন বার করতে তখন নির্দলদের দ্বারস্থ হতে হবে কংগ্রেসকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy