ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার সাংসদ নিশিকান্ত।
লোকসভায় দাঁড়িয়ে অসমের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিক পঞ্জি তৈরির দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এবং সেই দাবি জানাতে গিয়ে টেনে আনলেন বঙ্গভঙ্গের প্রসঙ্গও!
আজ সকালে এনআরসি প্রশ্নে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে তৃণমূল। স্পিকার সুমিত্রা মহাজন তা খারিজ করে দিলেও জ়িরো আওয়ারে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে এ নিয়ে বলার সুযোগ দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই সৌগতবাবু বলেন, ‘‘দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের সাংসদেরা অসমে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও সেখানে যাওয়া উচিত।’’ সৌগতবাবুর পরে বলতে ওঠেন ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার সাংসদ নিশিকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল। তখন থেকে পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম বাংলায় মানুষ আসতেই থেকেছে। যারা ক্রমশ বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেই কারণে গোটা দেশে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে নাগরিক পঞ্জি বানানো উচিত।’’
যা শুনে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদেরা। দলীয় সাংসদ সুগত বসু পরে বলেন, ‘‘মানুষের স্থানান্তরে যাওয়ার ইতিহাসটাই উনি জানেন না। তাই ইতিহাস বিকৃত করছেন। যার একটাই লক্ষ্য, বিভাজন তৈরি করা।’’
কিন্তু বিজেপি শিবিরের মতে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের একটি বড় অংশ পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে।
তাই অসমে যেখানে ৪০ লক্ষের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে নাগরিক পঞ্জি বানানো হলে সেই সংখ্যাটি অনেক বেশি হবে।
দিল্লির বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারির দাবি, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঢুকে বহু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী দিল্লি ও তার লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায়
ঘাঁটি গেড়েছে। তাই তাদের চিহ্নিত করতে দিল্লির জন্যও নাগরিক পঞ্জি বানানো হোক।’’ নাগরিক পঞ্জি করানোর দাবি তুলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। তবে এনডিএ শরিক হলেও এনআরসি প্রশ্নে সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে শিরোমণি অকালি দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy