পেমা খান্ডু
গত এক বছরে পাঁচ বার সরকার বদল হয়েছে। চার বার মুখ্যমন্ত্রী! গত ডিসেম্বর থেকে এই ডিসেম্বর—অরুণাচলে রাজনৈতিক অস্থিরতা একই। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে পেমা খান্ডুর বদলে এ বার রাজ্যের ভার পাওয়ার সম্ভাবনা রাজ্যের সব চেয়ে ধনী বিধায়ক টাকাম পারিওর। অন্তত তাঁদের দল পিপলস পার্টি অব অরুণাচল (পিপিএ) তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও পেমার পিছনে রয়েছে বিজেপি। এবং বিজেপি নেতাদের দাবি, পেমার পিছনেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। একই দাবি পেমারও।
গত কাল রাতে ‘দলবিরোধী’ কাজের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু, উপ মুখ্যমন্ত্রী চাওনে মেন, মন্ত্রী কামলুং মোসাং, পরিষদীয় সচিব পাসাং ডি সোনা, জাম্বে তাশি, ঝিংগু নামচোম ও চাউ টিয়া মেনকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন পিপিএ সভাপতি কাফা বেঙিয়া। তিনি স্পিকারকে রাতেই
চিঠি পাঠিয়ে জানান, ওই সাত জন আর দলের সদস্য নন। তাঁদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক নেই। পেমার ডাকা কোনও বৈঠকে দলীয় বিধায়করা যাবেন না।
আজ সকালে পিপিএর বৈঠকে টাকাম পারিও পিপিএ বিধায়কদলের নেতা নির্বাচিত হন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে স্বীকৃতি দিতে রাজ্যপাল ও স্পিকারকে চিঠি পাঠিয়েছে পিপিএ। কাফা জানান, ৬ মাস দলের বৈঠকে আসেননি পেমা।
তবে বিজেপি সভাপতি তাপির গাওয়ের মতে, সাসপেন্ড হওয়ার বিষয়টি পিপিএর অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু পেমা শুধু পিপিএ নয়, বিজেপি সমর্থিত সর্বসম্মত নেতা। বিজেপির সমর্থন এখনও তাঁর দিকে। নেতৃত্ব বদল হয়নি। বিজেপি নেতা রাম মাধব জানান, বিজেপির বিধায়ক, নির্দল বিধায়ক ও বেশির ভাগ পিপিএ বিধায়ক পেমাকেই মুখ্যমন্ত্রী মানেন। আশা করা হচ্ছে, পিপিএ দলের ভিতরে সাময়িক মন কষাকষি শীঘ্রই মিটে যাবে। পিপিএ নেতারাও এ দিন জানান, তাঁরা এখনও বিজেপি জোটের শরিক থাকছেন। শাসক জোটও পিপিএ-বিজেপিরই থাকবে।
৬০ সদস্যের অরুণাচল বিধানসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১০। কংগ্রেসের ৪৪ জনের মধ্যে পেমার নেতৃত্বে ৪৩ জন পিপিএ-তে যোগ দেন। বিজেপির সমর্থনে তারা সরকারও চালাচ্ছিল। কয়েক দিন আগে গৌহাটি হাইকোর্ট কংগ্রেস বিধায়কদের এ ভাবে পিপিএ-তে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্পিকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে হলফনামা জমা দিতে বলে। আগামী ৪ জানুয়ারি তার শুনানি হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy