কোসারাজু ভিরাইয়া চৌধরী
মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারের পদ সামলানোর পরে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদে যোগ দেওয়ার খবর সামনে আসায় ফের বিতর্কে কোসারাজু ভিরাইয়া চৌধরী। সংক্ষেপে কে ভি চৌধরী।
মুকেশ অম্বানীর সংস্থা জানিয়েছে, তাদের বোর্ডে নন এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দিচ্ছেন এই প্রাক্তন আমলা। এর আগে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন কেভি। কংগ্রেসের প্রশ্ন, যিনি কিছু দিন আগেও সরকারের দুর্নীতি দমনের প্রধান মুখ ছিলেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ সংস্থার বোর্ডে কী ভাবে যোগ দিচ্ছেন তিনি? সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিরও বক্তব্য, ‘‘যিনি প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের কর্ণধার এবং মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার ছিলেন, তিনিই এখন দেশের বৃহত্তম সংস্থার বোর্ড রুমে। ওই সংস্থা সংক্রান্ত যে সমস্ত সিদ্ধান্ত তিনি এত দিন নিয়েছেন, তার তদন্ত হওয়া জরুরি।’’
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ভিজিল্যান্স কমিশনারের পদে সাধারণত অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারদের নিয়োগ করা হয়। ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস অফিসার চৌধরীই প্রথম, যিনি আইএএস না হয়েও ২০১৫ সালের জুনে কমিশনের শীর্ষ পদে বসেন। তার আগে তিনি প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের শীর্ষে ছিলেন। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই কালো টাকার তদন্তে এসআইটি গঠন করে। তাতে নিয়োগ করা হয় চৌধরীকে। তা সত্ত্বেও তিনি আয়কর পর্ষদে তদন্তের ভারপ্রাপ্ত সদস্য হিসেবে থেকে যান। সেই সময়ে আয়কর দফতর দিল্লিতে সহারা-বিড়লার দফতরে তল্লাশি চালায়। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ পরে অভিযোগ করেন, সহারা-বিড়লা নথি থেকে কিছু বিতর্কিত বিষয় বাদ দিয়েছিলেন বলে চৌধরীকে সিভিসি-র পদে বসানো হচ্ছে। মামলাও করেন তিনি। তবে সুপ্রিম কোর্ট মামলা খারিজ করে জানিয়েছিল, ওই নথি আইনি সাক্ষ্য হিসেবে মূল্যহীন।
রঞ্জিত সিন্হার আমলেও সিবিআই তদন্তে চৌধরীর নাম উঠে আসে। আবার মাংস ব্যবসায়ী মইন কুরেশির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তেও চৌধরী নাক গলানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানান সিবিআইয়ের ডিআইজি মণীশ সিন্হা। আবার চৌধরীর রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে অলোক বর্মাকে সরিয়ে দেয় মোদী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy