Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নয়া সংসদের জন্য নকশা চাইল কেন্দ্র

প্রাথমিক ভাবে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত ‘রাজপথ’ সংলগ্ন তিন কিলোমিটার জমির কোনও একটি অংশে নতুন সংসদ ভবন ও সচিবালয় নির্মাণের কথা ভাবা হয়েছে।

পুরনো এই সংসদ ভবনের বদলে নতুন সংসদ ভবন তৈরির পরিকল্পনা কেন্দ্রের।

পুরনো এই সংসদ ভবনের বদলে নতুন সংসদ ভবন তৈরির পরিকল্পনা কেন্দ্রের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১৫
Share: Save:

স্বাধীনতার ৭৫ বছরে নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই নতুন ভবনের রূপরেখা কেমন হবে, তা ঠিক করতে আজ প্রস্তাব আহ্বান করল নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে নতুন সংসদ ভবনের নকশা জমা দিতে হবে আগ্রহী সংস্থাগুলিকে। তবে হাতে সময় কম। তাই প্রয়োজনে পুরনো ভবনটিকেই নতুন রূপ দেওয়া সম্ভব কি না, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে আগ্রহী সংস্থাগুলিকে।

গত মাসে সাংসদদের জন্য নতুন দোতলা আবাসনের উদ্বোধন করতে গিয়ে নতুন সংসদ ভবনের কথা তোলেন মোদী। বলেন, ওই ভবনে স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উদ্‌যাপনের ইচ্ছে আছে তাঁর। মোদীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে খোদ কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর তত্ত্বাবধানে শুরু হয় প্রকল্পের পরিকল্পনা। আগ্রহী সংস্থাগুলি নকশা পাঠালে তার মধ্যে একটিকে বেছে নেবেন মোদী। সে ক্ষেত্রে পুরনো সংসদ ভবনকে সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে তুলে জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে নতুন সংসদ ভবনের কাছাকাছি একটি মাত্র ভবনে সমস্ত মন্ত্রককে নিয়ে আসার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।

চিহ্নিত করা হয়েছে জমিও। প্রাথমিক ভাবে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত ‘রাজপথ’ সংলগ্ন তিন কিলোমিটার জমির কোনও একটি অংশে নতুন সংসদ ভবন ও সচিবালয় নির্মাণের কথা ভাবা হয়েছে। অগ্রাধিকার পাচ্ছে অবশ্য সংসদ ভবনই। কারণ, ২০২২-এ সেই ভবনে বক্তৃতা দিতে ইতিহাস গড়তে চান মোদী। সচিবালয় নির্মাণের কাজ শেষ করার সময়সীমা ২০২৪। এ

ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্য হল, দিল্লিতে কর্মরত প্রায় ৭০ হাজার কেন্দ্রীয় কর্মচারীকে এক ছাতার তলায় আনা। তা হলে বছরে সরকারকে যে প্রায় হাজার কোটি টাকা বেসরকারি ভবনের ভাড়া গুনতে হয়, তা বাঁচানো যাবে।

প্রতি বছর বাড়ছে জনসংখ্যা। ২০২৬ সালে সেই সময়কার জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদের আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাস হওয়ার কথা। যা হলে লোকসভার সাংসদ সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। সেন্ট্রাল হলে এখনই ‘ঠাঁই নাই’ দশা। তাই স্পিকার হিসাবে মীরা কুমারও নতুন সংসদ ভবন তৈরির পক্ষে ছিলেন। যুক্তিগ্রাহ্য দাবি হলেও খরচের ভয়ে এ নিয়ে এগোতে চায়নি তৎকালীন মনমোহন সরকার।

লোকসভার সচিবালয় জানাচ্ছে, ১৯২১ সালে দুই ব্রিটিশ স্থপতি এডউইন লাটিয়েন্স এবং হারবার্ট বেকার সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। তখন খরচ হয়েছিল ৮০ লক্ষ টাকা। সময় লেগেছিল ছ’বছর। কাজেই বর্তমান সময়ে খরচ নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে সরকারকে। কিন্তু কার্যত আড়াই বছরের মধ্যে রাজপথের মতো ‘ভিভিআইপি জ়োনে’ আস্ত একটি সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করা অসম্ভব বলে মনে করছে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকেরই একাংশ। তাই বিকল্প পথ হিসেবে বর্তমান ভবনকেই নতুন চেহারা দেওয়ার পক্ষপাতী অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE