বেঙ্গালুরুতে যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং হচ্ছে। ছবি: পিটিআই।
লকডাউনের ৪৪ দিন কেটে গিয়েছে। শিথিল হয়েছে কিছু নিয়মকানুন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। যাঁদের অনেকেই সংক্রমিত বলে ধরে নিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ফলে আগামী দিনে করোনা-সংক্রমণ আরও বাড়বে, এমনটাই আশঙ্কা তাদের। এই অবস্থায় আজ সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, ‘‘কী করে করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে, তা আমাদের শিখতে হবে। এটাই বড় চ্যালেঞ্জ।’’
কয়েক দিন ধরেই দেশে ফি দিন প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি সংক্রমিত হয়েছেন। যার ফলে দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬,৩৪২। সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে গত কালই সতর্ক করেছেন এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। এমনকি দেশে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার দিনও কমে গিয়েছে। এখন কত দিনে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে তা অবশ্য আজ জানাতে চাননি লব। তবে সূত্রের মতে, ওই হার ১০ ও ১১ দিনের মাঝে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। লবের মতে, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে প্রচুর মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন।
বাড়ছে মৃত্যুও। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনায় ভারতে মৃত্যুহার অনেক বেশি। সেই কারণে আক্রান্তদের মধ্যে প্লাজ়মার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (প্লাসিড ট্রায়াল) কতটা সফল হয়, তা দেখার কাজ গুজরাতে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সূত্রের খবর, ওই কাজে সাহায্য করতে অমিত শাহের নির্দেশে গুজরাত গিয়েছেন গুলেরিয়া।
আরও পড়ুন: বিষক্ষয়ের পথ কি গোষ্ঠীর সংক্রমণই
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনা-আক্রান্ত ১৩০, চিন্তা বাড়াচ্ছে হাওড়া এবং কলকাতা
এ দিকে, লকডাউনের নিয়ম শিথিল করায় ও পরিযায়ী শ্রমিকেরা ঘরে ফিরতে শুরু করায় সংক্রমণ বাড়ার যে আশঙ্কা রয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন লব। তিনি বলেন, ‘‘পারস্পরিক দূরত্বের যে নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা পালন করতে হবে।’’
বিশেষজ্ঞদের মতে, আজ না-হোক কাল, গোষ্ঠী সংক্রমণ হবেই। তখন মানুষের মধ্যে গোষ্ঠী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। পরবর্তী ধাপে করোনা সংক্রমণ স্থানীয় রোগে পরিণত হবে। তখন আর চিন্তার কিছু থাকবে না।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy